Shibpur Engineering College: তিন দফা দাবিতে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অশিক্ষক কর্মীদের বিক্ষোভ
Shibpur Engineering College: ডিরেক্টরের আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও তুলে নেন তাঁরা। তবে আগামী কয়েকদিন তাঁরা দুপুরে ২ টো থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন মলয়বাবু।
হাওড়া: শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালেন সেখানকার অশিক্ষক কর্মচারীরা। স্থায়ীকরণ, গ্র্যাচুরিটি, পেনশন- তাঁদের দাবি মূলত তিন দফা। তা পূরণ না হওয়াতেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।
এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টরকেও দীর্ঘক্ষন ঘেরাও করেন অশিক্ষক কর্মচারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। সন্ধ্যায় ডিরেক্টরের আশ্বাসে আপাতত বিক্ষোভ তুলে নেন কর্মচারীরা। ৮ বছরের পেনশন সমস্যার স্থায়ী সমাধান, মেস কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের পাশাপাশি গ্র্যাচুরিটি নিশ্চিত করা ও কর্মচারীদের চাকরির সুযোগ-সুবিধা পুনর্গঠনের দাবিতেই এদিন বিক্ষোভ হয়।
এদিন ‘আইআইইএসটি এমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’এর সাধারণ সম্পাদক মলয় গড়াই জানান, এই দাবিগুলি নিয়ে গত ১লা ডিসেম্বর থেকে তাঁরা আইআইইএসটি চত্বরে রোজ ১ ঘন্টা করে প্রতীকী অবস্থান করছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় অবশেষে মঙ্গলবার তাঁরা দুপুর থেকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। পাশাপাশি ডিরেক্টরকে ঘেরাও করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় ঘড়াই বলেন, ‘‘২০১৪ সালে কেন্দ্রের হাতে যাওয়ার পর এটি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে যায়। তবে তাতে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বহু কর্মচারী অস্থায়ী কর্মীতে পরিণত হন।’’
ডিরেক্টরের আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও তুলে নেন তাঁরা। তবে আগামী কয়েকদিন তাঁরা দুপুরে ২ টো থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন মলয়বাবু। তাঁর বক্তব্য, দাবি মিটলে তবেই তাঁরা আন্দোলন থেকে সরবেন। না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন। অন্যদিকে এ বিষয় এদিন ডিরেক্টর পার্থ সারথি চক্রবর্তী বলেন, “এই বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর ক্ষমতায় নেই।” তিনি বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দফতরকে জানিয়েছেন। ফের আগামী সোমবার ডিরেক্টর দিল্লি গিয়ে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন।
ডিরেক্টর পার্থসারথি চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারি নিয়ম অনুসারে সমস্ত কিছু করা হচ্ছে। আমরা বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়গুলো নিয়ে আবেদনও করেছি। তবে এ নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও উত্তর আসেনি।’’