Protest: ওয়াকফ সম্পত্তিতেও তোলাবাজির অভিযোগ, পথ অবরোধে নামলেন গ্রামবাসী

Howrah: এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত মহম্মদ আসানুল্লাহ। অভিযোগ, তিনিই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চান। গ্রামবাসীরা তা দিতে অস্বীকার করলে ওই নেতা রবিবার সকালে সদলবলে গিয়ে ওই নির্মাণ ভাঙার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরাও রুখে দাঁড়াতেই বাধে ঝামেলা। দু'পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিও হয়।

Protest: ওয়াকফ সম্পত্তিতেও তোলাবাজির অভিযোগ, পথ অবরোধে নামলেন গ্রামবাসী
এভাবেই প্রতিবাদ চলছে। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 17, 2023 | 7:24 PM

হাওড়া: স্ত্রী তৃণমূল করেন, তাই স্বামী এলাকায় জোর জুলুম চালান বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে রাস্তা অবরোধে নামলেন এলাকার লোকজন। রবিবার জগৎবল্লভপুর-১ গ্রামপঞ্চায়েতের ইছানগরী ঝিংড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। যদিও সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ওয়াকফ সম্পত্তির জায়গায় গ্রামবাসীরা সর্বসম্মতিক্রমে একটি ব্যবসায়িক ভবন তৈরি করছেন। সেখান থেকে যে আয় হবে, তা তাঁরা গ্রামের উন্নয়নে খরচ করবেন বলে ঠিক করেছেন।

এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত মহম্মদ আসানুল্লাহ। অভিযোগ, তিনিই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চান। গ্রামবাসীরা তা দিতে অস্বীকার করলে ওই নেতা রবিবার সকালে সদলবলে গিয়ে ওই নির্মাণ ভাঙার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরাও রুখে দাঁড়াতেই বাধে ঝামেলা। দু’পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতিও হয়।

এরপরই এই ঘটনার প্রতিবাদে জগৎবল্লভপুর জাঙ্গিপাড়া রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখ এহেসান আলি। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে খবর এসেছিল একটি ওয়াকফ সম্পত্তির উপর প্রমোটিং চলছে, আমরা সেটাই দেখতে গিয়েছিলাম। ওই বোর্ডের কোনও বৈধ কাগজপত্র আছে কি না দেখতে চাওয়ায় গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। টাকা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।”

স্থানীয় আসরাফুল লস্করের কথায়, “পাশের গ্রামের আসানুল্লা বারবার আমাদের বিরক্ত করছে। গ্রামের সম্পত্তি লুঠ করতে চাইছে। আমরা এখানে একটা ছোট বাণিজ্যিক ভবন বানাতে চাই। কিন্তু আসানুল্লা প্রোমোটিং চান। ২ লক্ষ টাকা চেয়েছে। দিতে চাইনি বলে গ্রামবাসীর উপর চড়াও হল। আমরাও আজ প্রতিরোধ করি।”

আব্দুল আজিজ মল্লিক নামে আরেক এলাকাবাসী বলেন, “এই ওয়াকফ এস্টেট দীর্ঘদিন ধরেই কয়েকজন জবরদখল করেছিল। আমরা পরে যখন জানতে পারি এটা ওয়াকফ, আমরা ঝিংড়া গ্রামবাসী ২০০৮ সাল থেকে সম্পত্তি উদ্ধারে নামি। তখন আশপাশের গ্রামের কেউ সাহায্যও করেনি। অধিকারের কথাও বলেনি।”

যদিও মহম্মদ আসানুল্লাহ বলেন, “আমাদের কাছে খবর আসে ওয়াকফ সম্পত্তির উপর ঝিংড়ার কিছু ছেলে মার্কেট করছে। তা শুনেই যাই। ওয়াকফ সম্পত্তিটা তো শুধু এই গ্রামের নয়। ঝিংড়া ও পার্শ্বর্তী গ্রামের অধিকার আছে বলেই জানি। এ নিয়ে এলাকার কিছু ছেলের সঙ্গে বচসা হয়। আমরা শুধু বলেছি, ওয়াকফ বোর্ড অনুমতি দিয়েছে কি না তা জানতে চাই। তাতেই এত কিছু।”