Body Found: প্যারোলে বাড়ি এসে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন প্রৌঢ়, দৃশ্য দেখে চোখ কপালে উঠল পরিবারের
Howrah News: স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে সুনীলের ভাই রাজুর দেহ উদ্ধার হয় বাড়িরই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে। ঘটনায় নাম জড়ায় দাদার।
হাওড়া: প্যারোলে মুক্ত এক সাজাপ্রাপ্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বেলুড়ে (Belur)। রবিবার সকালে সুনীলকুমার সাউ (৫৪) ওরফে বাবলু নামে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকেই। বেলুড় থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রুজু হয়েছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, মেদিনীপুর সংশোধনাগারে ছিলেন সুনীল। প্যারোলে বাড়িতে আসার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আর্জি মঞ্জুরও হয়। বাড়িতে থেকে রবিবারই তাঁর ফেরার কথা ছিল সংশোধনাগারে। এদিনই এই ঘটনা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে অনেকক্ষণ তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তাতেই খটকা লাগে বাড়ির লোকজনের। এরপরই ডাকাডাকি শুরু হয়। কিন্তু কিছুতেই দরজা খোলেননি। এরপরই ওই ঘরের জানলা ফাঁক করে দেখেন ঝুলছেন তিনি। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন বাড়ির লোকজন। খবর দেওয়া হয় বেলুড় থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে সুনীলের ভাই রাজু সাউয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় রাজুর দেহ। সেই ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত ছিলেন সুনীল। দোষী সাব্যস্তও হন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় সুনীলের।
মেদিনীপুর সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। এর আগেও একাধিকবার প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছিলেন সুনীল। এবার কেন এই ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, সুনীলের ভাইয়ের খুনের অভিযোগ বালি থানায় দায়ের হয়েছিল। সে সময় অবশ্য বেলুড় থানা ছিল না। এখন তা ভাগ হওয়ায় বেলুড়ে দায়ের হয় সুনীলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন সুনীল সাউ। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর জয়বিবি রোডে সুনীলের বাড়িতে যান প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, সুনীল মাঝে মাঝেই প্যারোলে ছাড়া পেয়ে বাড়ি আসতেন। কেন এমন ঘটনা ঘটলে তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ।