হাওড়া শ্যুটআউটের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত

হাওড়া: ২৪ ঘণ্টা আগেই হাওড়ার শালিমার অঞ্চলে তিন নম্বর রেল গেটের কাছে গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল কর্মী ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার একদিনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে ডিসিপি সেন্ট্রাল, এসিপি সেন্ট্রাল ১ এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনের ওসি-কে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করেন হাওড়ার নগরপাল। তাঁদের সাহায্য করার নির্দেশ […]

হাওড়া শ্যুটআউটের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত
একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক সন্দীপ শর্মা ও সাংবাদিক সুনীল ব্রারের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছেপ্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 30, 2020 | 6:27 PM

হাওড়া: ২৪ ঘণ্টা আগেই হাওড়ার শালিমার অঞ্চলে তিন নম্বর রেল গেটের কাছে গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল কর্মী ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার একদিনের মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে ডিসিপি সেন্ট্রাল, এসিপি সেন্ট্রাল ১ এবং বোটানিক্যাল গার্ডেনের ওসি-কে নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করেন হাওড়ার নগরপাল। তাঁদের সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়া হয় গোয়েন্দা বিভাগ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এবং হাওড়া কমিশনারেটের ট্র্যাফিক বিভাগকে।

এদিন ধর্মেন্দ্র সিংয়ের বন্ধুর বয়ানের ভিত্তিতে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। হাওড়া গোয়েন্দা বিভাগের সাহায্যে আততায়ীকে শনাক্ত করা হয়। সূত্রের খবরের ভিত্তিতে আন্দাজ করা হয় যে ডানকুনি, হুগলি, এবং বর্ধমান হয়ে বিহারের দিকে পালাচ্ছে আততায়ীরা। খবর পৌঁছে দেওয়া হয় বর্ধমান পুলিসের কাছে, রাস্তায় রাস্তায় বসানো হয় ‘নাকা’ চেকপয়েন্ট। বিভিন্ন গাড়ির তল্লাশির ভিত্তিতে অবশেষে গ্রেফতার হয় দুষ্কৃতীরা। তাদের হাওড়ায় ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয় তদন্তকারী অফিসার সুজয় কুমার দাসের নেতৃত্বে বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার একটি দল। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে, এবং হামলার কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিস।

এজেসি বোস বোটানিক্যাল গার্ডেন থানার আওতাধীন কাজির বাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ধর্মেন্দ্র সিং। ঘটনার সময় এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে চড়ে এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকা দুটি বাইকে করে ৪ জন দুষ্কৃতী এসে উপস্থিত হয় ও ধর্মেন্দ্র সিংকে পরপর ৬ বার গুলি করে চম্পট দেয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামতেই হাওড়ার বি গার্ডের চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ধর্মেন্দ্র সিং-এর উত্তেজিত অনুগামীরা গোটা এলাকায় ভাঙচুর ও বাস-টায়ারে আগুন লাগাতে শুরু করে। রণক্ষেত্রের আকার নেয় বি গার্ডেন চত্বর। এই ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীরা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রশাসনের উপর। কেন পুলিস দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেনই বা সম্পত্তি ক্ষয় ও জীবনহানীর আশঙ্কা তৈরি হল। প্রশ্ন তুলতে থাকে ব্যবসায়ীদের সংগঠন।

আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হাওড়ার বি গার্ডেন, নামল র‌্যাফ