Jagaddal: পেটে বন্দুক ধরে জমি ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি, নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের

রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে অভিযুক্তরা জমি ব্যবসায়ী সমীর চট্টোপাধ্যায়কে বলে, "এদিক-ওদিক অনেকে পড়ে থাকে। আপনিও কী পড়ে থাকতে চাইছেন?"

Jagaddal: পেটে বন্দুক ধরে জমি ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি, নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের
জগদ্দলের ব্যবসায়ীকে প্রাণে মারার হুমকি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 9:18 PM

জগদ্দল: ফের বিতর্কের কেন্দ্রে জগদ্দল (Jagaddal)। এবার জগদ্দলের এক জমি ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগে নাম জড়াল খোদ তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) ভাইয়ের। তাঁর অনুগামীরাই তোলা তুলতে জমি ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি দিন তিনেক আগে ঘটলেও প্রকাশ্যে এসেছে শুক্রবার। ওই জমি ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতারও করেছে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জগদ্দলের জমি ব্যবসায়ী সমীর চট্টোপাধ্যায় শ্যামনগর কাউগাছি এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ করছেন। সেই কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে চার যুবক তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের ভাই সঞ্জয় শ্যামের অনুগামী এবং তাঁর নাম করেই বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে বলে সমীর চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ। ঘটনাটি জানিয়ে বাসুদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুম্বা নামে স্থানীয় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাসুদেবপুর থানার পুলিশ।

তোলা তোলার জন্যই সঞ্জয় শ্যামের অনুগামীরা তাঁর কাছে এসে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ সমীর চট্টোপাধ্যায়ের। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনাটির সূত্রপাত গত ২৪ জানুয়ারি। ছেলেকে স্কুলে দিয়ে ফেরার সময় তিনি দেখেন, যে জমিতে বাড়ি করছেন, সেখানে একটি গাড়ি নিয়ে চারজন আসে। তারপর তারা সরাসরি তাঁকে কাজ বন্ধ করতে বলেন। সমীরবাবুর কথায়, “ওরা আমাকে কাজ বন্ধ করতে বলে। কেন জিজ্ঞাসা করলে জানায়, আগে ছোট শ্যামের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। ছোট শ্যাম কে তিনি জিজ্ঞাসা করলে অভিযুক্তরা বলে, সারা ব্যারাকপুর তাঁকে চেনে, আপনি চেনেন না! এরপর সমীরবাবু কাজ বন্ধ করবেন না বললে ওই চরজন রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলে, এদিক-ওদিক অনেকে পড়ে থাকে। আপনিও কী পড়ে থাকতে চাইছেন?” তারপরই একজন তাঁর পেটের কাছে বন্দুক ঠেকায় এবং আরেকজন হাতে বন্দুক নিয়ে তাক করে বলে অভিযোগ সমীর চট্টোপাধ্যায়ের। এরপর অভিযুক্তরা তাঁর ফোন নম্বর নিয়ে যায়।

ঘটনার পরদিন সমীরবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার একদিন পর তিনি বাসুদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন তৃণমূলের পার্টি অফিসে যাতায়াত করত বলেও দাবি সমীরবাবুর। এরা এভাবে দলের বদনাম করছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি বিধায়কের ভাই সঞ্জয় শ্যামের। তিনি সমীর চট্টোপাধ্যায়কে চেনেন না এবং কারা, কেন তাঁর নাম করে সমীরকে হুমকি দিয়েছেন, তা জানেন না বলেও দাবি বিধায়কের ভাইয়ের। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক বলেও দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল থেকে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।