Jalpaiguri News: জলপাইগুড়িতে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে শাসক ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ SUCI-এর
নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় এদিনও গোটা এলাকা থমথমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে এদিনও পুলিশ পিকেট রয়েছে।
জলপাইগুড়ি: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এবার লাগল রাজনৈতিক রং! সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির কোতয়ালি থানা এলাকায় মৃত নাবালিকার বাড়িতে যায় শাসক সহ বিরোধী দলের নেতারাও। তৃণমূলের পাশাপাশি বাম ও বিজেপি দলের প্রতিনিধিরা এদিন নাবালিকার বাড়িতে যান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। আরও একধাপ এগিয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায় SUCI। SUCI-এর ছাত্র, যুব ও মহিলারা একত্রিতভাবে কোতয়ালি থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায়।
অন্যদিকে, নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় এদিনও গোটা এলাকা থমথমে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে এদিনও পুলিশ পিকেট রয়েছে। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা সভাপতি বিজেপি বাপী গোস্বামী। প্রশাসন ঠিকমতো কাজ না করার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে এলাকা আরও অশান্ত হয়ে উঠবে বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা। মৃতের মা এলাকার বিজেপি মহিলা মোর্চার স্থানীয় মন্ডল সভাপতি বলেও জানান তিনি।
যদিও নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো। তিনি বলেনস আমরা এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আজ আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, বর্ষশেষের দিন অর্থাৎ গত ৩১ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাড়িতে একাকী ছিল। তার বাবা, মা মামাবাড়িতে যায় এবং বড় দিদি টিউশন পড়তে গিয়েছিল। টিউশন পড়ার সময় ওই ছাত্রীর দিদির ফোনে একটি ফোন আসে। তিনি ফোন রিসিভ করলে বলা হয়, তার বোন মারা গিয়েছে। খবর পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে ফোন করেন। তারপর তাঁরা সকলে বাড়িতে এসে দেখেন, ছাত্রীটির মৃতদেহ মাটিতে পড়ে আছে। এরপর কোতোয়ালি থানায় পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রবিবার সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দুই অভিযুক্তর বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। তারপর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ৫ অভিযুক্তর নামে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং দেহটি ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ।