Jalpaiguri: রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয় স্থানের জমিও? হচ্ছে লুঠ? কী করছে প্রশাসন? উঠছে প্রশ্ন
Jalpaiguri: এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে। তিনি কিন্তু স্বীকার করছেন ঘটনার কথা। জমি হাত বদলের ব্যাপারে সরকারি ব্যবস্থায় কিছু ফাঁক রয়েছে বলে মানছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি: প্রাচীন ধর্মীয় স্থানের জমিও লুঠ? এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল জলপাইগুড়িতে। প্রশাসনের কাছে ঘটনার কথা লিখিতভাবে জানিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠ নাথ পিঞ্জরাপোল গোশালার সদস্যরা। জলপাইগুড়ি গোশালা মেড়ে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন গোশালা। ১৯১১ সালে এই গোশালার সূচনা হয়। গোশালার অধীনে সংলগ্ন এলাকায় অনেক জমি রয়েছে। যার মধ্যে একটি ১৭ বিঘার প্লট রয়েছে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া ৩১ নং জাতীয় সড়কের পাশে। সেটাকে ঘিরেই যত সমস্যা বলে জানা যাচ্ছে।
গোশালার সদস্যদের অভিযোগ, সম্প্রতি তারা ওই ১৭ বিঘার প্লট গার্ডওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করেন। সেই সময় তাঁরা জানতে পারেন পুরো জমিটার ভুয়ো দলিল বানিয়ে প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁরা গত মে মাসে জলপাইগুড়ি BLRO দফতরে লিখিত অভিযোগ জানান। কিন্তু, তাঁদের দাবি, ওই জমি উদ্ধারে গড়িমসি করছেন প্রসাশনের আধিকারিকেরা। যদি অবিলম্বে তাঁদের জমি উদ্ধার না হয় তবে তাঁরা দ্রুত মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
ভূমি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জমি যারা কিনেছেন তাঁদের নিয়ে সম্প্রতি শুনানির আয়োজন করেছিলেন BLRO। কিন্তু শুনানিতে কেউ আসেনি। জমি বেদখলের অভিযোগ নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা হয়। তবে ক্যামেরার সামনে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের সঙ্গে। তিনি কিন্তু স্বীকার করছেন ঘটনার কথা। জমি হাত বদলের ব্যাপারে সরকারি ব্যবস্থায় কিছু ফাঁক রয়েছে বলে মানছেন তিনি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানেও গিয়েছে, এমনকী ব্যবস্থা নিতেও সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি সদরের BLRO তুহিন বিশ্বাসের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনিও ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।