Jalpaiguri: গৃহস্থ বাড়ি থেকেই চলত কারবার, ভোটের মধ্যেই প্রায় ৬ কোটি টাকার জাল মদ উদ্ধার ময়নাগুড়িতে
Jalpaiguri: এদিন আচমকাই ময়নাগুড়ি ব্লকের ওই অবৈধ বিলিতি মদের কারখানায় হানা দেন আবগারি দফতরের কর্তারা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
ময়নাগুড়ি: বাড়িতে কারখানা খুলে তৈরি হচ্ছিল বিলিতি মদ। স্পিরিটের সঙ্গে রঙ মিশিয়ে ইচ্ছেমতো ব্র্যান্ডের বিলিতি মদ কিংবা বাংলা মদ তৈরির অবৈধ কারখানার হদিশ মিলল ময়নাগুড়ি ব্লকে। এক, দু লক্ষ নয়, একেবারে ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধার হল। সাম্প্রতিকালে এটাই উত্তরবঙ্গে নকল মদ উদ্ধারে এটাই সবথেকে বড় অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের আদর্শ আচরন বিধি চলার মধ্যেই এত বড়সড় কারখানার হদিশের খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে।
এদিন আচমকাই ময়নাগুড়ি ব্লকের ওই অবৈধ বিলিতি মদের কারখানায় হানা দেন আবগারি দফতরের কর্তারা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর নাগাদ জলপাইগুড়ি সদর আবগারি দফতরের কাছে গোপন সূত্রে ওই ভুয়ো মদের কারখানার খবর আসে। খবর পেতেই শুরু হয়ে যায় অভিযান। রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজলদিঘি এলাকায় নিরঞ্জন রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চলে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী অবৈধ মদের বোতল উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর ব্যারেল। পাশাপাশি হাতে আসে প্রচুর মদ তৈরির উপকরণও।
শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ ঘন্টা ধরে চলে অভিযান। পরে বাজেয়াপ্ত হয় ৭ টি গাড়ি বোঝাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম। আবগারি দপ্তরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার সুজিত দাস বলেন, “সাম্প্রতিককালে এত বড় জাল মদ তৈরির কারখানা আমরা দেখিনি। প্রায় ৬ কোটি টাকার বিলিতি মদ উদ্ধার হয়েছে। এই জাতীয় মদ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত হানিকারক। এইসব মদ সেবনে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে অভিযুক্ত পলাতক। আমরা তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছি।”