Smuggling: বার্মা সুপারি পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ৩

Smuggling: সূত্র মারফত জানা যায় এই বার্মা সুপারি অর্থাৎ সাদা সুপারি পাচারের লাইন কন্ট্রোলের দায়িত্বে রয়েছেন শ্রীরামপুর বর্ডার থেকে একজন এবং শিলিগুড়ি থেকে অপরজন। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা দুটি নাম পেয়েছেন। সূত্রের খবর ধীরাজ এবং বিনয় তাদের খোঁজ চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন শাখা।

Smuggling: বার্মা সুপারি পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে ৩
বার্মা সুপারি উদ্ধারImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2024 | 9:10 AM

জলপাইগুড়ি: সড়ক পথের পর এবার রেল পথেও বার্মা সুপারি পাচারের চেষ্টা। আটক হলেন তিন জন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়়িয়েছে ধূপগুড়িতে। ধৃতরা সকলেই ধূপগুড়ির বাসিন্দা।

কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, সড়ক পথের পাশাপাশি ট্রেনে করেও পাচার করা হচ্ছে বার্মা সুপারি। বার্মা সুপারি যাকে চলতি ভাষায় সাদা সুপারি বলা হয়। মাঝে অসম সরকারের, কড়াকড়ির কারণে সড়কপথে সুপারি পাচার বন্ধ ছিল। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

সেই চক্রের হাত ধরেই প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি লড়িতে করে বার্মা সুপারি আসাম সীমানা পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে নাগপুর,কানপুর এমনকি দিল্লি ও পাড়ি দিচ্ছে। তবে ট্রেনে করে সুপারি পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ার ঘটনা এই প্রথম ধূপগুড়িতে বলেই দাবি আরপিএফএর।

এই বার্মা সুপারি পারাপারের পিছনে মূল পান্ডা হিসেবে দুই ব্যক্তি কাজ করে থাকেন বলে খবর। একজন শিলিগুড়ির অপরজন বক্সিরহাটের বাসিন্দা। যারা মূলত এই লাইন কন্ট্রোল করেন। গাড়ি পারাপারের উপর নজর রাখেন,আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন ওই দুই ব্যক্তি। যাদের হাত ধরে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্য এই বার্মা সুপারি পারাপার হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা সরকারি কর ফাঁকি দিয়েই চলছে এই ব্যবসা।

লাল সুপারি অর্থাৎ লোকাল সুপারি-র আড়ালে সড়ক পথের পাশাপাশি এবার রেলপথেও পা জমিয়েছে পাচারকারীরা সুপারি ব্যাবসায়। অভিযোগ, আর এই কাজে মদত দিচ্ছেন শুল্ক দপ্তরের কোতিপয় আধিকারিক বলে সূত্রের দাবি। যাদের নাম ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন শাখার হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর।

এরপর বুধবার ভোররাতে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে আরপিএফ এর বিশেষ দল ধূপগুড়ি স্টেশনে পৌঁছয়। সেই সময় উল্টো দিক থেকে অবধ আসাম এক্সপ্রেস ট্রেন ধূপগুড়ি স্টেশনে দাঁড়ায়। ট্রেন থেকে নামানো হচ্ছিল সুপারি। আর সেই দৃশ্য নজরে আসে আরপিএফের বিশেষ দলের। সঙ্গে-সঙ্গে হানা দেয় অসম থেকে দিল্লিগামী অবোধ আসাম এক্সপ্রেস ট্রেনে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বহু সুপারি। আটক করা হয় তিনজনকে।

সূত্র মারফত জানা যায় এই বার্মা সুপারি অর্থাৎ সাদা সুপারি পাচারের লাইন কন্ট্রোলের দায়িত্বে রয়েছেন শ্রীরামপুর বর্ডার থেকে একজন এবং শিলিগুড়ি থেকে অপরজন। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা দুটি নাম পেয়েছেন। সূত্রের খবর ধীরাজ এবং বিনয় তাদের খোঁজ চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন শাখা। আর ধূপগুড়ির তিন যুবক ধরা পড়ার পরেই রেলপথে সুপারি পাচারের অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

রেলের কর্মী ধূপগুড়ি স্টেশনের পার্সেন বিভাগের আধিকারিক রমেশ কান্তি বলেন,”ভোর রাতে আরপিএফ- এর বিশেষ দল অভিযান চালিয়েছে। অবদআসাম ট্রেন থেকে সুপারি নামানোর সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে তিন জনকে। পরে তাদের জলপাইগুড়ি আরপিএফ অফিস এ নিয়ে যাওয়া হয়। আরপিএফ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে।”