Jalpaiguri: এই প্রথম কোনও সরকারি আধিকারিকের মুখ দেখলেন গ্রামবাসীরা
Jalpaiguri: স্থানীয় সমাজসেবী মুস্তাফা হোসেন বলেন," আমাদের গ্রামে অনেক সমস্যা। পরিচয় পত্র দেখিয়ে আমাদের গ্রামে মানুষকে আসতে হয়। তাই আমাদের গ্রামে মেয়েদের সম্বন্ধ আসে না। উপযুক্ত মেয়েদের বিয়ে দেওয়া খুব মুশকিল হত। এছাড়া গ্রামের মানুষ সব সরকারি পরিসেবা পেতেন না।"
জলপাইগুড়ি: দুই পাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা গ্রাম চম্পক গছ। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের ফুলবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামে ১৯০ টি পরিবার বসবাস করে। গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, তাঁরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা পাচ্ছেন না। সেই অভিযোগ কানে আসতেই বুধবার বিকেলে ওই গ্রামে পৌঁছে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। এই প্রথম সরকারি কোনও আধিকারিককে সশরীরে গ্রামে পৌঁছতে দেখে আপ্লুত বাসিন্দারা।
স্থানীয় সমাজসেবী মুস্তাফা হোসেন বলেন,” আমাদের গ্রামে অনেক সমস্যা। পরিচয় পত্র দেখিয়ে আমাদের গ্রামে মানুষকে আসতে হয়। তাই আমাদের গ্রামে মেয়েদের সম্বন্ধ আসে না। উপযুক্ত মেয়েদের বিয়ে দেওয়া খুব মুশকিল হত। এছাড়া গ্রামের মানুষ সব সরকারি পরিসেবা পেতেন না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এর আগে বহু বিডিও সাহেবদের অনুরোধ করেছিলাম আমাদের গ্রামে এসে বিষয়গুলো সরজমিন তদন্ত করতে। কিন্তু কেউ আসেনি। এই প্রথম কোনও বিডিও আমাদের গ্রামে এলেন। উনি এসে সমস্ত সমস্যা খতিয়ে দেখলেন। বললেন দ্রুত সমস্যা মেটাবেন। উনি আসায় আমরা খুব খুশি।”
অপরদিকে বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, “সীমান্ত রক্ষীদের অনুমতি নিয়ে কাঁটাতারের ভেতরে থাকা চম্পক গছ গ্রামে এসেছিলাম। এখানকার মানুষজন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,বার্ধক্য ভাতা,স্বাস্থ্য সাথী সহ পরিষেবা পাচ্ছেন কি না খোঁজ নিয়ে দেখলাম। যারা পাচ্ছেন না। তাদের যাতে দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য পদক্ষেপ করা হবে।”