Jalpaiguri: বেতন না পেয়ে আত্মঘাতী বিএসএনএল কর্মী, প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ সহকর্মীদের
BSNL: , জলপাইগুড়ি বিএসএনএল কেন্দ্রের অধীনে চারশোর বেশি ক্যাজুয়াল বা কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মী রয়েছেন। এঁরা কেউ সিকিউরিটি গার্ড, কেউ আবার লাইন ম্যান-সহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। তাঁদের কেউ নয় মাস, কেউ দশ মাস, কেউ আবার এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
জলপাইগুড়ি: দীর্ঘদিন ধরে বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সংসারে অশান্তি চলছিল। তীব্র মানসিক অশান্তিতে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বিএসএনএল (BSNL) -এর এক অস্থায়ী কর্মী। ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। আর এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএনএল দফতরে বিক্ষোভ শুরু করল তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন।
রাজগঞ্জ ব্লকের তোতাই গঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা বীরেন্দ্র রায় বিএসএনএল-এর অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। গত ১৫ বছর ধরে বিএসএনএল এর ফাটাপুকুর এক্সচেঞ্জ অফিসে সিকিউরিটি গার্ডের পোস্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, প্রায় এক বছর ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে পরিবার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল বীরেন্দ্রবাবুর পক্ষে। দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পরিবারের দাবি। এর পর বুধবার ভোরে বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বীরেন্দ্র। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই খবর চাউর হতেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে। এর পর ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বেলার দিকে জলপাইগুড়ি বিএসএনএল দফতরের সামনে তৃণমূল শ্রমিক নেতা স্বপন সরকারের নেতৃত্বে বিএসএনএল দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, এই নিয়ে গত ৬ মাসে তাঁদের দুজন সহকর্মী আত্মহত্যা করলেন শুধু বেতনের জন্যই।
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি বিএসএনএল কেন্দ্রের অধীনে চারশোর বেশি ক্যাজুয়াল বা কন্ট্রাক্টচুয়াল কর্মী রয়েছেন। এঁরা কেউ সিকিউরিটি গার্ড, কেউ আবার লাইন ম্যান-সহ বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। তাঁদের কেউ নয় মাস, কেউ দশ মাস, কেউ আবার এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তাদের এই পরিস্থিতি চলছে। বহু প্রতিবাদ-আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
বীরেন্দ্রর মৃত্যুতে সৌমিত্র সরকার নামে তাঁর এক সহকর্মী বলেন, অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন বীরেন্দ্র বাবু। কিন্তু দীর্ঘ কয়েকমাস বেতন না পাওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। আমাদের ধারণা এই কারনেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরও পড়ুন: Svendu AdhikarI: ‘দুর্গাপুজোর পরিস্থিতি যেন না হয়,’ জনসাধারণকে সচেতনতার বার্তা শুভেন্দুর
তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি স্বপন সরকার দাবি করেন বেতন না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগেই এই আত্মহত্যা। এর আগেও আরও একজন একই ভাবে আত্মঘাতী হন। তবুও কেন্দ্রীয় সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা চাই অবিলম্বে এঁদের বেতন দেওয়া হোক। নইলে এরপর বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। মন্তব্য তাঁর।