Kali Puja 2021: কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে ঠাঁই ‘বুর্জ খলিফা’-র, এ বার উচ্চতা আরও বেশি

Jalpaiguri: দীপাবলির ঠিক আগের রাতে, দুই তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও প্রদীপ কুমার বর্মা পুজো উদ্বোধন করেন।

Kali Puja 2021: কলকাতা থেকে জলপাইগুড়িতে ঠাঁই 'বুর্জ খলিফা'-র, এ বার উচ্চতা আরও বেশি
জলপাইগুড়িতে এ বার 'বুর্জ খলিফা' ,নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 11:09 PM

জলপাইগুড়ি: দুর্গাপুজোয় কলকাতায় ‘বুর্জ খলিফা’ দেখতে সুদূর গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন যুবক। কোভিড পরিস্থিতিতে ভিড় সামাল দিতে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোয় কার্যত রাশ টানতে বাধ্য হয় প্রশাসন। বিতর্কে নাম জড়ায় খোদ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুরও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। ফের কালীপুজোয় বঙ্গমাটিতেও দেখা গেল ‘বুর্জ খলিফা’। তবে এ বার আর কলকাতা নয়। সুদূর জলপাইগুড়িতে। উচ্চতা আরও বেশি।

দীপাবলির ঠিক আগের রাতে, দুই তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও প্রদীপ কুমার বর্মা পুজো উদ্বোধন করেন। জলপাইগুড়ির নবারুণ সংঘ প্রতিবারই নিত্যনতুন ভাবনায় তাক লাগিয়ে দেয়। এ বার ফের দুবাইয়ের অনুকরণে বুর্জ খলিফা তৈরি করে তারা আলোচনার শীর্ষে। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে এই বুর্জ খলিফার উচ্চতা ১০৬ ফুট। কলকাতায় যে বুর্জ খলিফার মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল তার উচ্চতা ছিল ১০৪ ফুট। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই বুর্জ খলিফার উচ্চতা আরও ২ ফুট বেশি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কী করে এই পুজোমণ্ডপ অনুমতি পেল? শুধু তাই নয়, কলকাতার মতনই এই মণ্ডপেও লেসার আলোর ব্যবহার দেখা গিয়েছে। যে লেজার আলোর জন্য বিতর্ক শুরু হয়েছিল সেই বিতর্কও যেন ফের উস্কে দিল। পাশাপাশি, মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও জনসমাগম প্রতিরোধ করতে কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন তাঁরা যথাযথ অনুমতি নিয়েই এই মণ্ডপ তৈরি করেছেন।  অন্য়দিকে,  তৃণমূল বিধায়কদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

ভিআইপি রোড সংলগ্ন সেই পুজোর লেজার আলোর কারণে বিমান উড়ান এর সমস্যা তৈরি হচ্ছিল । অভিযোগ জানায় বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ । এর পর আর ও একটি তথ্য সামনে আসায় ফের অস্বস্তিতে পড়ে শ্রীভুমির পুজো । রাজ্য দমকল বিভাগের গাইড লাইনে পুজোর মণ্ডপের অনুমতির ক্ষেত্রে ৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে প্যান্ডেল এর সর্বোচ্চ উচ্ছতা ৪০ ফুটের বেশি হবে না কখনই । প্রশ্ন ওঠে বুর্জ খলিফার উচ্চতা নিয়ে । কীভাবে নিজে এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী হওয়ার পর ও তারই দফতরের নির্দেশিকা কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুউচ্চ বুর্জ খলিফা তৈরি করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহলে। এ প্রসঙ্গে, যদিও দমকলমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর রাতে, মণ্ডপে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ। এরপর বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে অনুরোধ করা হয় যাতে বুর্জ খলিফার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এই নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা, কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বন্ধের সিদ্ধান্ত, তুঙ্গে ছিল কথা কাটাকাটি, পুজো বন্ধ করে ঘট পুজো করার ভাবনা, মণ্ডপ থেকে পুলিশ প্রহরা তুলে নেওয়ার আর্জি- এই সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি অষ্টমী থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কার্যত মণ্ডপের দর্শনার্থীদের জন্য ‘নো এন্ট্রি’ ঘোষণা করতে বাধ্য হন খোদ দমকলমন্ত্রী। অন্যদিকে, শ্রীভূমির পুজো নিয়ে সুজিতের বিরুদ্ধে কার্যত মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাল্টা বলতেও ছাড়েননি সুজিত বসু। তবে সমস্ত বিতর্কের অবসান হলেও ফের জলপাইগুড়িতে ‘বুর্জ খলিফা’ মাথা চাড়া দেওয়ায় নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হতে পারে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন: Nadia: ‘কেন থামবে না ট্রেন?’ ২৫ ঘণ্টা পেরিয়েও জালালখালিতে গড়াল না রেলের চাকা