TMC MLA: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ এনেছিলেন পুত্রবধূ, সে সব মেটালেন বিজেপি নেতা
TMC MLA: আপাতত পুত্রবধূ মামলা তুলে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর আর কোনও অভিযোগ নেই।
জলপাইগুড়ি: বিজেপি নেতার মধ্যস্থতায় মিটে গেল তৃণমূল বিধায়কের পারিবারিক বিবাদ। পুত্রবধূ মামলা তুলে নেওয়ায় স্বস্তি ফিরল খগেশ্বর রায়ের পরিবারে। রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে প্রায় বছর খানেক আগে বধূ নির্যাতনের মামলা নিয়ে রাজগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়। এরপর বিষয়টি জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের লিগাল এইড ফোরামে পাঠায় রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। সেখানেও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় ফের রাজগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন পিঙ্কি দেবী। তাঁর অভিযোগ, তাঁর মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে জলপাইগুড়ির বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা সৌজিত সিংহের কাছে যান পিঙ্কি।
আইনজীবীর পরামর্শে, চলতি মাসে আদালতের দ্বারস্থ হন পিঙ্কি। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে এবং ১২ জুনের মধ্যে অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। এরপর নড়েচড়ে বসে বিধায়কের পরিবার। খগেশ্বর রায় নিজে ফের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেন সৌজিত সিংহের সঙ্গে। এরপর বেশ কয়েক দফায় আলোচনায় বসে দুই পরিবার। অবশেষে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পিঙ্কি। তাঁরা ফের সংসার করবেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূ।
অবশেষে শনিবার আইনজীবী সৌজিত সিংহের চেম্বারে বসে দুই পরিবার। দুই পরিবারের তরফেই জানিয়ে দেওয়া হয়, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা শুরু করা হোক। পিঙ্কি রায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সাফ জানিয়েছেন, তিনি আবার সংসার করতে চান। তাই তিনি যে মামলা করেছিলেন তা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইনজীবীকে।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘সব পরিবারে কিছু না কিছু পারিবারিক সমস্যা থেকেই থাকে। আমার পরিবারেও ছিল। কিন্তু আমি সবসময় চেয়েছিলাম ওরা ভালভাবে সংসার করুক। আমার পুত্রবধূ মামলা করেছিল। এরপর আবার আমরা আলোচনায় বসি। আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নিলাম। আমার পুত্রবধূ মামলা তুলে নিচ্ছে।’
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী সৌজিত সিংহ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে খগেশ্বর রায়ের রাজনৈতিক মতাদর্শে ফারাক থাকলেও দীর্ঘদিনের পারিবারিক পরিচয় তাঁদের। আর এই ক্ষেত্রে খগেশ্বর বাবুর পুত্রবধূই তাঁর মক্কেল ছিলেন। আইনি লড়াইও শুরু হয়েছিল। তবে এখন তাঁর মক্কেল জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। সৌজিত সিংহ বলেন, ‘আমরা সবসময় চাই, এরা সংসার করুক। দু’পক্ষই চাইছে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। তাই উভয়পক্ষ মিলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হল। এখন এরা সুখে সংসার করুক।’