Unknown Fever: অজানা জ্বরের সঙ্গে দোসর করোনা, জলপাইগুড়িতে ৮ দিনে আক্রান্ত ৪ শিশু

Corona Cases: শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ৩ শিশুকে স্থানান্তরিত করা হলো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

Unknown Fever: অজানা জ্বরের সঙ্গে দোসর করোনা, জলপাইগুড়িতে ৮ দিনে আক্রান্ত ৪ শিশু
শিশুদের নিয়ে বাড়ছে ভয় জলপাইগুড়িতে
Follow Us:
| Updated on: Sep 23, 2021 | 5:41 PM

জলপাইগুড়ি: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের অবস্থা। একের পর এক শিশুর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ফের এক শিশুর শরীরে মিলল করোনা সংক্রমণ। এই নিয়ে গত ৮ দিনে ৪ শিশু নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হলো। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ৩ শিশুকে স্থানান্তরিত করা হলো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

ঘটনায় জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মণ বলেন, “গতকাল রাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভর্তি থাকা ৩ জন শিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত বারোটা পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শিশু বিভাগে ভর্তি রয়েছে মোট ১০৭ জন শিশু। একই সঙ্গে গতকাল রাত পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি হয়েছিল ২৪ জন শিশু। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে  ৬ জন শিশু। শ্বাসকষ্ট সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় ৩ শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছিল। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, জেলা জুড়ে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে, কেবল সদর হাসপাতালেই রোগীর চাপ বেড়েছে এমন নয়, বেসরকারি হাসপাতালগুলিরও প্রায় একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে অনেক হাসপাতাল থেকেই রোগীকে রেফার করা হচ্ছে সদর হাসপাতালে। ফলে বাড়ছে চাপ।হাসপাতালের শিশু বিভাগের একটি বেডে একসঙ্গে ৩জন শিশুর চিকিত্‍সা চলছে। জ্বরে প্রায় বেহুঁশ হতে বসা শিশুদের এইভাবেই চলছে চিকিত্‍সা।ক্রমে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে চলায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৪০ টি বেড বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও প্রশাসনের তরফে কতটা পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হয় হাসপাতাল সুপারকে।জেলার হাসপাতালের পরিস্থিতি কীরকম?কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে?তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি। কিন্ত প্রতিটি প্রশ্নই এড়িয়ে যান হাসপাতাল সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর। তিনি প্রথমে জানান কেউ নেই। পরে আবার জানিছিলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিষয়টি জানাবেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। পাশাপাশি হাসপাতাল সংক্রান্ত যে কোনও খবর জানাবেন হাসপাতাল সুপার।

জেলায় শিশুদের মধ্যে এখোনও জ্বরের প্রকোপ কমেনি। বৃহস্পতিবার সকালে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের ওপিডিতে শিশুদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন: Corona Vaccine: রাত ৩টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা পাচ্ছেন না, মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ শিলিগুড়িতে