Jalpaiguri: করোনা পরবর্তীকালে বাড়তে পারে শিশুশ্রম?

Child labor: করোনা নির্মূল হয়ে গেলেও পরবর্তী পরিস্থিতি যে শিশুদের জন্য অতটাও মসৃণ হবে না এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

Jalpaiguri: করোনা পরবর্তীকালে বাড়তে পারে শিশুশ্রম?
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 6:25 PM

জলপাইগুড়ি: রাজ্যে অজানা জ্বরে (Unknown Fever) শিশুদের আক্রান্তের খবর ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি সামনে এসেছে তাদের করোনায় (Corona) আক্রান্ত হওয়ার বিষয়। তবে করোনা নির্মূল হয়ে গেলেও পরবর্তী পরিস্থিতি যে শিশুদের জন্য অতটাও মসৃণ হবে না এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

জলপাইগুড়িতে শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি সেমিনারে যোগ দেন অনন্যা। সেখানেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাড়তে পারে চাইল্ড লেবার, ড্রপ আউট, বাল্য বিবাহ বা পাচারের মতো বিষয়গুলি।

পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের আরটিসি হলঘরে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিশুদের অবস্থা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন হয়।  সেখানে উপস্থিত ছিলেন মালদা ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন,পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিশু সুরক্ষা বিভাগ, জুভেনাইল বোর্ডের বিচারক, শিশু কল্যাণ সমিতির আধিকারিক প্রমুখ।

সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “করোনা ও করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর এবং তাদের নিজস্ব সার্ভে রিপোর্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে শিশু শ্রমিক বাড়ছে। একইসাথে বাড়ছে শিশুদের অসুস্থতা, শিশু পাচার, ড্রপ আউট, বাল্য বিবাহ ইত্যাদি। সেই দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে কমিশন। তবে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝা যাবে স্কুল খুললে শিশুদের উপস্থিতি দেখে। ”

তিনি আরও বলেন,”গত দেড় বছরে রাজ্যে প্রায় ৩ হাজারের বেশি শিশু করোনার জেরে অনাথ হয়েছে।যার মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় ১১৪, মালদায়  অনাথ হয়েছে ৭৫। এই সকল শিশুরা তাদের আত্মিয়দের কাছে রয়েছে। এই সকল শিশুদের মাসে দু’হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে। আত্মীয়দের অধীনে থেকেও অযত্নে আছে কি না তা জানতেও নজরদারি করা হবে।

তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা চা বাগানেও রয়েছে। তবে সেটা তেমন উদ্বেগের নয়। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে চা বাগানের কাজ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে চা বাগানে কাজ হয়েছে। কিন্তু একেবারে বন্ধ ছিল পরিবহন কিংবা পর্যটন ক্ষেত্র। তাই এই সমস্ত পরিবারগুলিতে ব্যাপক সমস্যা শিশুদের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

উল্লেখ্য, গত ৮ দিনে ৪ শিশু নতুন করে করোনায় আক্রান্ত । পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট বাড়ায় জ্বরে আক্রান্ত ৩ শিশুকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মণ জানিয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের ভর্তি থাকা ৩ জন শিশুকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের স্থানান্তরিত করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে আরও এক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আজও মালদহ থেকে অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে চার মাসের এক শিশুর। সব মিলিয়ে জেলায় মৃত্যু হল ৮ শিশুর বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘হিন্দু মহিলাকে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যেতে দিলে না, এই তোমাদের হিন্দুত্ব!’ তোপ মমতার