TMC MLA : তৃণমূল বিধায়ক ও পরিবারের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ আদালতের

Domestic violence : পিঙ্কি রায় বলেন, "আমার শাশুড়ি আমায় গালিগালাজ করতেন। স্বামী মারধর করতেন। শ্বশুরমশাই সব জেনেও চুপ করে থাকতেন।"

TMC MLA : তৃণমূল বিধায়ক ও পরিবারের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ আদালতের
তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূর অভিযোগ, সব জেনেও চুপ করে থাকতেন তাঁর শ্বশুরমশাই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 1:13 PM

রাজগঞ্জ : দিনের পর দিন পুলিশের কাছে গিয়েছেন। কিন্তু, নেওয়া হয়নি তাঁর অভিযোগ। শ্বশুরমশাই প্রভাবশালী হওয়ায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। এই অভিযোগে জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের (TMC MLA Khageswar Roy) পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে বধূ নির্যাতনের মামলা গ্রহণ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিল আদালত। এই কেসের কতদূর অগ্রগতি হল তা আগামী ১২ জুলাই আদালতে জানাতে হবে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশে নিয়ে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, আদালতের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।

২০১৯ সালে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের ছেলে দিবাকর রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ময়নাগুড়ি বাসিন্দা পিঙ্কি রায়ের। বিয়ের পর থেকেই তিনি তাঁর স্বামী ও শাশুড়ির দ্বারা শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, এই বিষয়গুলি খগেশ্বর রায় জানতেন। তবুও তিনি এর কোনও বিহিত করেননি কিংবা পুত্রবধূর পাশে দাঁড়াননি। উলটে তিনি দিনের পর দিন নিশ্চুপ থেকে ছেলে ও স্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন বলে অভিযোগ পিঙ্কি রায়ের।

পিঙ্কি রায়ের আইনজীবী সৌজিত সিংহ বলেন, তাঁর মক্কেল পিঙ্কি রায় লাগাতার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে রাজগঞ্জ থানায় বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করতে যান। তাঁর শ্বশুর একজন প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ক। তাই সেই সময় পুলিশ তাঁর মামলা গ্রহণ না করে বিষয়টি লিগাল এইড ফোরামে পাঠায়। সেখানে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় সম্প্রতি তিনি রাজগঞ্জ থানার ফের গিয়েছিলেন মামলা দায়ের করতে। কিন্তু সেখানে মামলা দায়ের না করতে পেরে তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন। সেখানেও সুরাহা না পেয়ে গতকাল তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে বধূ নির্যাতনের মামলা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালতের নির্দেশে খুশি তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূ। পিঙ্কি বলেন, “আমার শাশুড়ি আমায় গালিগালাজ করতেন। স্বামী মারধর করতেন। শ্বশুরমশাই সব জেনেও চুপ করে থাকতেন। এমনকী, আমি যখন থানায় অভিযোগ জানাতে যাই, তখন আমার নামে মিথ্যে খবর ছড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমি নাকি তাঁর কাছ থেকে টাকা চেয়েছি।” তৃণমূল বিধায়ক তাঁর উপর কোনওদিন অত্যাচার না করলেও ছেলে ও বউকে কিছু বলতেন না। ছেলেকে প্রশয় দিয়েছেন। তাঁর শ্বশুরমশাই প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। শ্বশুরবাড়িতে তিনি ফিরে যেতে চান না বলে জানিয়ে দেন পিঙ্কি।

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খগেশ্বর রায়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। আর যেহেতু তিনি বিধায়কের পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তাই তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উদ্যোগী হয়েছে বিরোধীরা। তাদেরই কেউ কেউ আবার নতুন করে পুত্রবধূকে প্ররোচনা দিচ্ছে। আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন আইনের পথে চলবে।