Jalpaiguri Therft: আরও দাম বাড়লে বিক্রি করার কথা ভেবেছিলেন, বেশি লাভ করতে গিয়ে সব খোয়ালেন আলু ব্যবসায়ী
Jalpaiguri Therft: জলপাইগুড়ি রায়কত পাড়া এলাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন কোচবিহার জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাসিন্দা ভক্তিভূষণ রায়। গ্রামের বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় গত ৭ তারিখ গোটা পরিবারে জলপাইগুড়ির ভাড়া বাড়িতে তালা দিয়ে দেওয়ানগঞ্জ চলে যান।
জলপাইগুড়ি: বাজারে ক্রমেই চড়ছে আলুর দাম। হিমঘরে আলু মজুত রেখে আরও দাম বাড়ার পর বিক্রি করলে কিছু বাড়তি মুনাফা হবে, এই আশায় ২০০ প্যাকেট অর্থাৎ ১০০ কুইন্টাল আলুর একটি বন্ড ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন জলপাইগুড়ি রায়কত পাড়ায় ভাড়াটে থাকা ভক্তিভূষণ রায়। অভিযুক্ত তাঁর বাড়ির সোনা, রুপোর গহনার সঙ্গে বন্ডটিও নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি শহরে চুরির ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এবারও ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে নগদ টাকা, সোনা, রুপোর গহনা ইত্যাদির পাশাপাশি একটা এটাচির ভেতরে ফাইল বন্দি করে রাখা আলুর বন্ড নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরের রাজবাড়ি পাড়া এলাকাতে।
জলপাইগুড়ি রায়কত পাড়া এলাকায় স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকতেন কোচবিহার জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাসিন্দা ভক্তিভূষণ রায়। গ্রামের বাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় গত ৭ তারিখ গোটা পরিবারে জলপাইগুড়ির ভাড়া বাড়িতে তালা দিয়ে দেওয়ানগঞ্জ চলে যান।
বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে এসে দরজা খুলে ঘরের ভেতর ঢুকে দেখেন জানালার গ্রিল খোলা। আলমারি-সহ অন্যান্য জিনিস লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরপর দেখেন তাঁর লকারে থাকা নগদ টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না নেই। এটাচির ভেতরে ফাইল বন্দি করে রাখা আলুর বন্ড সেটিও খোয়া গিয়েছে।
ভক্তিভূষণ রায় বলেন, “টাকা পয়সা, সোনা ও রুপোর অলঙ্কার খোয়া গেছে। এমনকি আমার কাছে একটি ২০০ প্যাকেট আলুর বন্ড ছিল, সেটিও নিয়ে পালিয়েছে চোরের দল। এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতেই পারিনি।”
স্ত্রী মনিময় রায় বলেন, “বাচ্চাদের জন্য অনেক কষ্ট করে প্রায় ১২ গ্রাম সোনা, রুপোর গয়না বানিয়েছিলাম। সেগুলি নিয়ে গিয়েছে। এছাড়া ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে কেনা আলুর বন্ড সেটিও নিয়ে পালিয়েছে চোর।” থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বাড়ির মালিক উত্তম দাস বলেন, “গত সাত বছরেও এমন চুরির ঘটনা এখানে শুনিনি। এমন ঘটনায় সত্যিই অবাক হয়েছি। খুব খারাপ হল।” সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।