Death during immersion: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত ৮, অভিশপ্ত সন্ধ্যা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
Death during immersion: প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
জলপাইগুড়ি: মাল নদীতে হড়পা বান। এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখনও নিখোঁজ অনেকে। রাতভর চলেছে উদ্ধারকার্য। প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
প্রশ্ন ১. বিসর্জনের সময় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না কেন?
প্রশ্ন ২. আবহাওয়া খারাপের পূর্বাভাস সত্ত্বেও কেন এত ভিড়?
প্রশ্ন ৩. কেন বিসর্জনের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না?
প্রশ্ন ৪. নদীতে মাঝেমাঝেই হড়পা বান আসে, কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন?
প্রশ্ন ৫. আগে থেকে কেন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়নি?
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জেরে গত ২-৩ দিন ধরেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কারণ, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে দক্ষিণা বাতাস সরাসরি পাহাড়ে পৌঁছে বৃষ্টি নামানোর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করছিল। দশমীতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ছিল জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে। বর্ষার শেষবেলায় এই ভারী বর্ষণই হড়পা বানের সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। পাহাড়ি নদীর (এক্ষেত্রে মাল) উচ্চ প্রবাহ বা আপার ক্যাচমেন্টে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকলে হড়পা বানের আশঙ্কা বাড়ে। নদীখাত অগভীর হলে জলের তোড় বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে হড়পা বানে।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত লোকের ভিড়ের অনুমতি দিল প্রশাসন? বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে মালবাজারে। মাল নদীতে দেবীকে বিদায় জানানোর সময়ে আচমকাই চলে আসে হড়পা বান। ভেসে যান বহু মানুষ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৪০ জনেরও বেশি।