Dhupguri: মল গিলে ফেলেছিল, মৃত্যু হল সদ্যোজাতর! আশঙ্কাজনক মা
Dhupguri: এরপর ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে আবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর।
ধূপগুড়ি: শেষ রক্ষা হল না। হাসপাতালে মৃত্যু হল মল গিলে ফেলা সদ্যোজাতর। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চেষ্টা করেও শিশুটিকে বাঁচাতে পারেনি।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল সদ্যোজাতর। তাতেই মৃত্যু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাতৃমা হাসপাতালে ভর্তি শিশুর মা নুরিনা পারভিন। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতলে নুরিনা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে।
গত মঙ্গলবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নুরিনা। বৃহস্পতিবার তাঁর প্রসব যন্ত্রণা ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, প্রসবের সময়ে হাজারও ডেকে সাড়া মেলেনি কোনও চিকিৎসক, নার্সদের। নিজেই সন্তান প্রসব করেন। পাশে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা নার্সদের ডাকতে যান। সেসময়ে নার্সরাও তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। নার্সরা যতক্ষণে প্রসূতির কাছে গিয়ে পৌঁছন, সন্তান প্রসব করে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু সদ্যোজাতর মুখের ভিতর মল ঢুকে যায়। তাতেই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
এরপর ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে আবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সদ্যোজাতর। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ অস্বীকার করেননি ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি বলেন, “শিশুটির মুখে মল ঢুকে গিয়েছিল। তাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।”
ধূপগুড়ির বিএমওএইচ অঙ্কুর দাসের বক্তব্য, “নার্স ডেলিভারি যেখানে হচ্ছিল, তার অদূরেই ছিলেন বলে খবর পেয়েছি। স্টাফ ক্রাইসিসের কথা আমার জানা নেই। তবে বাচ্চাটা যে একেবারে বেরিয়ে এসেছিল, তেমনটা নয়। মাথাটা বেরিয়ে এসেছিল। পরে নার্স গিয়েই ডেলিভারি করান। তবে বাচ্চাটা মল গিলে ফেলেছিল। তাতেই সমস্যা হয়।”