Dhupguri Hospital: মল গিলে ফেলেছে, শুরু শ্বাসকষ্ট, লেবার রুমেই ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা প্রসূতির!

Dhupguri Hospital: হাসপাতালের বেডেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন প্রসূতি। নাড়িও কাটা হয়না । বেডেই মল, আর তাতে মেখেই পড়ে থাকে সদ্যোজাত।  দেখা মিলল না চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের। গুরুতর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে।

Dhupguri Hospital: মল গিলে ফেলেছে, শুরু শ্বাসকষ্ট, লেবার রুমেই ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা প্রসূতির!
ধূপগুড়ি হাসপাতালে প্রসূতিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2023 | 10:21 AM

ধূপগুড়ি: হাসপাতাল, কিন্তু দৃশ্যত যেন ভূতুড়ে বাড়ি। একটা পিনপতন স্তব্ধতা, কোথাও দেখা নেই চিকিৎসক নার্সদের। শুনশান চত্বর। বাড়ির কাছে বলে সেই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন প্রসূতি। আচমকাই ওঠে প্রসব যন্ত্রণা। হাসপাতালের বেডে নর্মাল ডেলিভারি হয়ে যায় প্রসূতি। এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সদ্যোজাতর কান্নার আওয়াজ কিংবা প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণার চিৎকার কোনওভাই পৌঁছয়নি চিকিৎসক, নার্সদের কানে। হাসপাতালের বেডেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন প্রসূতি। নাড়িও কাটা হয়না । বেডেই মল, আর তাতে মেখেই পড়ে থাকে সদ্যোজাত।  দেখা মিলল না চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের। গুরুতর অভিযোগ ঘিরে শোরগোল ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে।

হাসপাতাল জুড়ে নির্জনতা। যেখানে থাকার কথা, সেখানে নেই নার্স, চিকিৎসক কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মী। একপ্রকার স্বাস্থ্যকর্মীশূন্য অবস্থা। আর এর মধ্যে প্রসূতি বিভাগে বেডে জন্ম নিল শিশু। ডেকেও সাড়া মিলল না স্বাস্থ্য কর্মীদের। উল্টে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠল তাঁদেরই বিরুদ্ধে।

পুজোর রাত হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ এবং সাধারণ বিভাগের পাশে থাকা নার্সদের লেবার নার্সিং স্টেশন ও জেনারেল নার্সিং স্টেশন স্বাস্থ্য কর্মীর দেখা মেলেনি। এলাকারই এক সন্তানসম্ভবা মহিলাকে পরিবারের সদস্যরা সেই হাসপাতালে ভর্তি করান।

বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে তাঁর সন্তানের জন্ম দেন। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের চিৎকার চেঁচামেচিতে দীর্ঘক্ষণ পর ছুটে আসেন নার্সরা। অভিযোগ,  গল্পেই মশগুল ছিলেন তাঁরা। এমনকি রোগীর পরিবার ডাকতে গেলে, তাঁদের সঙ্গে তাঁরা দুর্ব্যবহারও করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়,  রোগীর আত্মীয়দের দাবি, সংবাদ মাধ্যমকে ফোন করে ডাকার হুঁশিয়ারি দিলে, স্বাস্থ্য কর্মীরা লেবার ওয়ার্ডে যান।

কিন্তু ততক্ষণে সন্তানের জন্ম দিয়ে দিয়েছেন প্রসূতি। এবং তার সন্তানের শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। কারণ শিশুর মুখ দিয়ে মল ঢুকে গিয়েছে। পরে নার্সরা এসে পরিস্থিতির সামাল দেন। যদিও কর্তব্যে গাফিলতি ও কর্মী সংখ্যা কমের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি বলেন, “নার্স সহ অন্যান্যরা ডেলিভারি ওয়ার্ডে কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তারা খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে যান। শিশুটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কারণ তার মুখ দিয়ে মল ঢুকে গিয়েছে।” সদ্যোজাতকে বর্তমানে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়েছে।