Jalpaiguri: একই দিনে পরপর দুটি বাইক দুর্ঘটনা! ট্রাফিক পুলিশ কর্তাকে মধ্যরাত পর্যন্ত আটকে বিক্ষোভ

Dhupguri: দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়রা আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা।

Jalpaiguri: একই দিনে পরপর দুটি বাইক দুর্ঘটনা! ট্রাফিক পুলিশ কর্তাকে মধ্যরাত পর্যন্ত আটকে বিক্ষোভ
বাইক দুর্ঘটনায় মৃত ২ (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2021 | 12:16 PM

জলপাইগুড়ি: ষষ্ঠীর সকালে দুর্ঘটনা ধূপগুড়িতে। গাড়িতে ধাক্কা বাইকের। একই দিনে ওই এলাকাতেই দুটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। পৃথক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা। মৃতদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ। ধূপগুড়ি শহরে এর আগেও বেপরোয়া গতির জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি গাড়ি ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটার দিকে যাচ্ছিল। বাইকটির অভিমুখও একই দিকে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গাড়ির গতিবেগ স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল।

গাড়িটি বাইককে পাশ কাটাতে গিয়ে পিছন থেকে সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে। বাইককে ছিটকে একেবারে গাড়ির নীচে ঢুকে যায়। বাইকে চালক ছাড়াও আরও এক জন ছিলেন। দুজনই বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান। তাঁরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রাই তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়রা আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। জাতীয় সড়ক আটকে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গাড়ির নীচে আটকে যায় মোটরবাইক।

উত্তেজনা ছড়ায় ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। স্থানীয়দের বক্তব্য, রবিবারই ঠিক একই এলাকায় সকালে বাইক দুর্ঘটনাটি ঘটে। একই দিনে পরপর দুটি দুর্ঘটনায় রীতিমতো পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। পুজোর মুখে কেন গাড়ির বেপরোয়া গতিতে রাশ টানতে পারছে না ট্রাফিক পুলিশ? প্রশাসনের বিরুদ্ধে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।

স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “প্রত্যেক দিন দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যেকদিনই পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ আশ্বাসও দেয়। কিন্তু গতি নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাই করা হয় না। একে রাস্তার অবস্থা বেহাল। তারওপর ঝড়ের গতিতে গাড়ি চলে। ট্রাফিক পুলিশ পাত্তাও দিত না।  আজ সীমা ছাড়াল। কারণ একই দিনে পরপর দুটি দুর্ঘটনা ঘটল।”

বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ট্রাফিকের ওসি-ও। রাত দেড়টা পর্যন্ত জাতীয় সড়কে ট্রাফিকের ওসি-কে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ শুধু সাধারণ মানুষেকে হয়রানি করে। গাড়ি আটকে শুধু ফাইন করেন, তবে গাড়ির গতিতে নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপ করে না পুলিশ। প্রায় দিন জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে ফুট-সহ রাস্তা আটকে আলুর গদি তৈরি করার ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে শহরে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: Dinhata: ২ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত দিনহাটা, রাতভর ধরপাকড়, এখনও পর্যন্ত জালে ১১

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘সবই সমাজবিরোধী’, দিনহাটায় গোষ্ঠীকোন্দলে দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের