Dilip Ghosh: ‘সবই সমাজবিরোধী’, দিনহাটায় গোষ্ঠীকোন্দলে দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের
Dilip Ghosh: রবিবার সন্ধ্যায় গীতালদহ ২ নং ব্লকের মরা কুঠি এলাকায় ব্রিজের কাছে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় সংঘর্ষ।
কলকাতা: “ওখানে সবই অ্যান্টি সোশ্যাল। এটা ওখানকার রাজনীতি। বাংলাদেশ বর্ডার সব সময় উত্তেজনা থাকে। আর এখন এসব করে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে, যাতে লোকে ভোট দিতে না আসে।” দিনহাটায় গোষ্ঠীকোন্দলে দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে বললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
রবিবার সন্ধ্যায় গীতালদহ ২ নং ব্লকের মরা কুঠি এলাকায় ব্রিজের কাছে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শুরু হয় সংঘর্ষ। সিতাই বিধানসভা এলাকায় বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও বর্ষীয়ান নেতা আবু আল আজাদের গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এদিন ভোরাম উপস্থিত ব্রিজের কাছে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয। চলে গুলি। ধরালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চলে। ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্য়ু হয়।
ধারালো অস্ত্র নিয়ে চলে উন্মত্ত দাপাদাপি। ধারাল অস্ত্র দিয়েই একে অপরেরং ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পুলিশ এবং বিএসএফ জওয়ানরা দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মৃত্যু হয় মোজাফফর হোসেন নাম এক তৃণমূল কর্মীর । ওপর আহত আব্দুল মান্নানকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর আঘাত গুরুতর হওয়ায় কোচবিহার যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে রাতেও উত্তপ্ত ছিল ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের গীতালদহ । রাতভর ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ । ইতিমধ্যেই ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে । সোমবার মৃত দুই ব্যাক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হবে ।
এ প্রসঙ্গে সিতাইয়ের তৃণমূল নেতা বিধায়ক ঘনিষ্ঠ জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ নুর আলম বলেন, “রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। যারা তৃণমূলকে জয়যুক্ত করেছে, তাদের ওপর যারা বিজেপির দালালি করেছে তারা আঘাত করেছে। যারা এমএলএ-এর লোক রয়েছে, তাদের প্রাণের মারার চেষ্টা করেছে।”
অন্যদিকে, অন্যদিকে, দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মন বলেন, “না, এখানে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই। আমি যতটুকু জানি, এটা ওদের পারিবারিক বিবাদ।”
আরও পড়ুন: Red Road: পঞ্চমীর সন্ধ্যায় শহরে চলল ‘গুলি’, আতঙ্ক-উদ্বেগ উৎসবমুখর কলকাতায়