Dhupguri: রাজভবনের ডাকে সাড়া দিলেন না? শপথের দিন কলেজে ক্লাস নিলেন তৃণমূল বিধায়ক
Dhupguri: ধূপগুড়ির ফল প্রকাশের পরদিন অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠায় রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে ফোন করে বিধায়ককে আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কথা বলা হয়। তবে বিধায়কের দাবি, কোনও ফোন তিনি পাননি বা কোনও খবর তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি।
জলপাইগুড়ি: শনিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনে সদ্য জয়ী তৃণমূল বিধায়ক ডক্টর নির্মলচন্দ্র রায়ের। এ দিন, রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ না করে কলেজে ক্লাস নিলেন তিনি। নিত্যদিনের মতো করলেন পাঠদান। প্রাথমিকভাবে অনুমান, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জেরেই শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি বিধায়ক।
ধূপগুড়ির ফল প্রকাশের পরদিন অর্থাৎ ৯ সেপ্টেম্বর নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ সংক্রান্ত ফাইল রাজভবনে পাঠায় রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে ফোন করে বিধায়ককে আজ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কথা বলা হয়। তবে বিধায়কের দাবি, কোনও ফোন তিনি পাননি বা কোনও খবর তাঁর কাছে এসে পৌঁছয়নি।
বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, “রাজভবন থেকে আমার কাছে কোনও ফোন আসেনি। তাই শপথ গ্রহণ সম্পর্কেও কিছু জানি না।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, শপথ না হওয়ায় তিনি সরকারি বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন এলাকার মানুষ থেকে পড়ুয়ারা। বিভিন্ন স্কলারশিপের তাঁর স্বাক্ষরের প্রয়োজন হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের। শপথ না হওয়ায় তিনি সেই সমস্ত কাজ সই করতে পারছেন না।
যদিও বিধায়ক হবার পরেও কলেজে নিয়মিতই অধ্যক্ষ আশায় খুশি পড়ুয়ারা। কলেজ পড়ুয়া রিয়া দাস, মামনি গোপরা বলেন, “বিধায়ক হওয়ার পর ভেবে ছিলাম হয়ত নিয়মিত হয়ত কলেজে আসতে পারবেন না স্যর। কিন্তু দেখতে পেলাম উনি আসছেন। আজও কলেজে এসে ক্লাস নিয়েছেন। এর আগে কখনো শুনিনি দেখিনি বিধায়ক এভাবে ক্লাস নেয়।”
প্রসঙ্গত, বিধায়কদের শপথের ক্ষেত্রে স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল চাইলে নিজেও শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। কিন্তু ধূপগুড়ির ক্ষেত্রে কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।