Dooars Elephant: ভেজা আলপথ, হাতে মশাল, রে রে করে দৌড়! আতঙ্ক তাড়াতে রাত জাগছে ডুয়ার্সের পাহাড়ি এই গ্রাম
Dooars Elephant: নিজেদের ধানের ফসল বাঁচাতে হাতে মশাল ও টর্চ লাইট নিয়ে হাতি তাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরাই জানাচ্ছেন, তাঁদের সেভাবে প্রশিক্ষণ নেই। বন্য জন্তুর সামনে তাঁদের হাতিয়ার বলতে মশাল, আর বড় লাঠি
জলপাইগুড়ি: খবর পাঠানো হয়েছিল, করা হয়েছে ফোনও। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এদিকে রাত হলেই যে তাদের হানা! ক্ষেতের আল উজিয়ে আসে তারা। নষ্ট হয় বিঘার পর বিঘা ফসল। তাই মশাল হাতে রাত জাগলেন গ্রামবাসীরা। মুখে রে রে শব্দ, আর ক্ষেতের ওপর দিয়ে মশাল হাতে ছুটলেন গ্রামবাসীরাই। ডুয়ার্সের মিটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোরা এলাকার বাসিন্দাদের গত কয়েকটা রাত এখন কাটছে হাতি তাড়াতেই।
মিটেলি ব্লকের উত্তর ধূপঝোরা এলাকায় পার্শ্ববর্তী গরুমারা জঙ্গল থেকে দাঁতাল ঢুকে পড়ে গ্রামের ধানক্ষেতে। গ্রামবাসীরা টের পেয়ে প্রথমে খবর দেওয়ার চেষ্টা করেন বনকর্মীদের। তাঁদেরকে ফোন করা হয়, খবর পাঠানো হয়। কিন্তু কেউই সাড়া দেননি। এদিকে হাতিও তার পথ ধরে এগিয়ে আসতে থাকায় গ্রামবাসীরাই বাধ্য হয়ে ময়দানে নামেন।
নিজেদের ধানের ফসল বাঁচাতে হাতে মশাল ও টর্চ লাইট নিয়ে হাতি তাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গ্রামবাসীরাই জানাচ্ছেন, তাঁদের সেভাবে প্রশিক্ষণ নেই। বন্য জন্তুর সামনে তাঁদের হাতিয়ার বলতে মশাল, আর বড় লাঠি। দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার পর হাতিটি ধান ক্ষেতের থেকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হয়। তবে তার মধ্যেই হাতিটি অনেকটা ধান খেয়ে ফেলেছে বলে জানালেন চাষিরা।
হাতি নিয়ে এখন নিত্য প্রহর গুনছেন ডুয়ার্সের বাসিন্দারা। কোচবিহারেই ইতিমধ্যে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে চার জনের। প্রায় রোজই হাতি জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়ছে। বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট হচ্ছে। এদিকে সামনে যাঁকে পাচ্ছেন, শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারছে। বনকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।