Dhupguri drug recover: মেইন রোডের উপর জেরক্সের দোকান, তার ভিতরে চলছিল এইসব কাজ, কপালে হাত এলাকাবাসীর

Dhupguri drug recover: পরবর্তীতে যখন এলাকারই এক যুবকের চোখে গোটা ঘটনা ধরা পড়ে যায় তখন বাধে বিপত্তি।

Dhupguri drug recover: মেইন রোডের উপর জেরক্সের দোকান, তার ভিতরে চলছিল এইসব কাজ, কপালে হাত এলাকাবাসীর
দোকানের সামনে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভিড় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 6:59 AM

ধূপগুড়ি: রাস্তার মোড়ে জেরক্সের দোকান। সুবিধা-অসুবিধায় সেখানেই যেতেন এলাকাবাসী। তবে দোকানের আড়ালে যে চলত এমন ব্যবসা তা ঠাউর করতে পারেননি কেউ। পরবর্তীতে যখন এলাকারই এক যুবকের চোখে গোটা ঘটনা ধরা পড়ে যায় তখন বাধে বিপত্তি।

জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘটনা। জেরক্স ও অনলাইন দোকানের আড়ালে ড্রাগস বিক্রির অভিযোগ। ড্রাগস বিক্রেতা ও ক্রেতাকে ধরতে গিয়ে আহত হলেন যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।

ড্রাগসের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে ধূপগুড়ি। বেশ কিছুদিন থেকে শহরের বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠছিল যে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে ড্রাগ। এতদিন গাঁজার রমরমা ছিল, তবে ড্রাগ ব্যাবসা নতুন করে ধূপগুড়িতে শুরু হওয়ায় চিন্তায় শহরবাসী থেকে অভিভাবকরা।

অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় ধূপগুড়ি শহরের ঘোষপাড়ার পৌরসভা অফিসের ঠিক সামনে একটি অনলাইন ও জেরক্সের দোকানে ড্রাগস কেনাবেচা চলছিল। সেই সময় স্থানীয় কয়েকজন একজন ক্রেতাকে ধরে ফেলেন। তখন সেই ক্রেতা কোনও রকমে জনতার হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে ছুটে পালিয়ে যান। এরপরে দোকানের মালিককে ধরে ফেলেন স্থানীয় যুবক শুভ ঘোষ। তবে তাঁকে আহত করে সেই দোকান মালিকও চম্পট দেয়।

এ দিকে, ড্রাগস বিক্রেতার ধাক্কায় আহত হন সেই প্রতিবাদী যুবকও। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ধূপগুড়ি থানা পুলিশ বাহিনী। তবে এই ঘটনায় কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ।

এই বিষয়ে শুভ ঘোষ বলেন, ‘প্রায় দুমাস ধরে এখানে  ড্রাগের ব্যবসা চলছিল আমি জানি। রাত্রি আটটা থেকে দেখি যে দোকানের সামনে একটি ছেলে ঘোরাঘুরি করছিল। আমার দেখেই সন্দেহ হয়েছে। এরপর ১০টা নাগাদ আমি যখন ওকে হাতেনাতে ধরি তখন পালিয়ে যায়। এরপর বিক্রেতাকেও আমি আটকাতে যাই। তবে সে আমায় আহত করেই পালিয়ে যায়।’

এ দিকে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে এইভাবে ড্রাগস বিক্রির চক্র প্রকাশ্যে আশায় ঘটনায় নিন্দার ঝড় শহরজুড়ে। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ড্রাগস কেনাবেচা পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায়। ঘটনায় আতঙ্কিত শহরবাসী। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পুলিশ প্রশাসনের এত নজরদারির পরেও শহরের গজিয়ে উঠেছে ড্রাগ চক্র? কীভাবে চলছে এই ব্যবসা? কোথা থেকে আসছে এত ড্রাগ শহরে?