Jalpaiguri: ‘এবার ওই গাছটা কেটে ফেলুন’, বলেই মুচকি হাসলেন তৃণমূল নেত্রী, কারণ…

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভোলা পাড়া থেকে চাউল হাটি। এই ৮ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ১০ বছর ধরে একেবারে বেহাল হয়েছিল।

Jalpaiguri: 'এবার ওই গাছটা কেটে ফেলুন', বলেই মুচকি হাসলেন তৃণমূল নেত্রী, কারণ...
পূর্ণিমা রায় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 8:56 AM

জলপাইগুড়ি: ‘এবার ওই গাছটিকে কেটে ফেলুন’, রাস্তার কাজের শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে হাসির ছলে এমনই আবেদন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। তবে কেন এমন বললেন তিনি?

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভোলা পাড়া থেকে চাউল হাটি। এই ৮ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ১০ বছর ধরে একেবারে বেহাল হয়েছিল। ফি বছর ভোট আসলে এই রাস্তা নির্মাণের শিলান্যাস হয়। তবে বাস্তবে আর রাস্তা আর তৈরি হয় না। এই রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বহুবার পথ অবরোধ হয়েছে। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে রাস্তা নির্মাণ হয়নি। কিন্তু নির্বাচন আসলেই তৃণমূল নেতারা বারংবার একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতেন।

গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোলা পাড়া এলাকায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুর্নিমা রায় মুখ ফস্কে বলেছিলেন এবার ভোটের এই রাস্তা নিশ্চয়ই হবে। যদি না হয় তবে আপনারা আমাকে গাছের সাথে বেঁধে রাখবেন।

ভোট পার হয়ে যায়। কিন্তু রাস্তা আর তৈরি হয় না। এই অবস্থায় পাছে যদি কেউ তাঁকে ধরে তাই এই এলাকা দিয়ে দিনের বেলায় যাতায়াত পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন পুর্নিমা দেবী। যদিওবা গাড়ি নিয়ে যেতেন তবে গাড়িতে থাকা সভাপতি লেখা বোর্ড উল্টে যেতেন। এমনটাই দাবি করেছে বিরোধীরা।

অবশেষে রবিবার এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়। গতকাল ভোলাপাড়া থেকে চাউলহাটি এলাকার দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার রাস্তা পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়, সাথে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা রায়, রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার সহ অনেকে।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুর্নিমা রায় বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমি ওই বক্তব্য রাখার পর কাজ শুরু না হওয়ায় আমি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ আমার সঙ্গে এই এলাকার যাদেরই দেখা হত তাঁরা আমাকে রাস্তার জন্য চেপে ধরত। আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রাস্তার কাজ শুরু না হলে আমরা এই রাস্তায় পা দেব না। অবশেষে আজ কাজ শুরু হয়েছে। এবার ওই গাছটা আপনারা কেটে ফেলবেন বলে হেসে ফেলেন তিনি। আর সাথে সাথে হাসির রোল ওঠে।

পুর্নিমা দেবীর কথাকে সমর্থন করে জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ বলেন, ‘পুর্নিমা ঠিকই বলেছে। মানুষ এই রাস্তার জন্য প্রায়সময় আমাদের কাছে আসতেন। ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। যাই হোক আজ থেকে কাজ শুরু হয়ে গেল। এখন আমি এলাকাবাসীদের এই রাস্তার কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’ অপরদিকে এত বছর পর এবার কাজ শুরু করায় খুশি এলাকার মানুষ।