Due Electricity Bill : বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় ৮০ লাখ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে ঘেরাওয়ের মুখে ইঞ্জিনিয়র

Due Electricity Bill : গত ২৭ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেয় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন।

Due Electricity Bill : বিদ্যুতের বকেয়া বিল প্রায় ৮০ লাখ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে ঘেরাওয়ের মুখে ইঞ্জিনিয়র
বিক্ষোভে আটকে ইঞ্জিনিয়র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2023 | 12:51 AM

জলপাইগুড়ি : বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill) বয়কট করেছে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন(Greater Cooch Behar People’s Association)। সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেরার পথে ঘেরাও হলেন ইঞ্জিনিয়ার সহ বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় জলপাইগুড়ি সিপাই পাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের গাড়ি সহ কর্মীদের আটকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। খবর পেয়ে বিশাল একটা বাহিনী নিয়ে ছুটে আসেন মানিকগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। সকলের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে পুলিশ। শেষে বুধবার এ বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে খানিকটা শান্ত হন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। মুক্ত করা হয় বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের। 

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেয় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। স্মারকলিপিতে বলা হয় কোচবিহার মার্জার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী ‘কোচবিহার রাজ্যের’ বাসিন্দাদের (উত্তরবঙ্গের সব জেলা) কোনও পরিষেবা কর দেওয়ার ব্যাপার নেই। তাই তারা বিদ্যুৎ বিল বয়কট করেছেন। বিল এই মুহূর্তে তাঁরা দেবেন না। একইসঙ্গে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়াও যাবে না। যদি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত মামলা করতে হয় তবে সংগঠনের নেতাদের নামে করতে হবে। কোনও গ্রাহকের নামে মামলা করা যাবে না। এ ছড়াও আরও একাধিক দাবি করা হয়।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন বিল না দেওয়ার ফলে ওই জায়গায় কিছু এলাকায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিল বকেয়া পড়ে থাকে। সে কারণেই এদিন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সিপাই পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিছু বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। তারপর থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় বিদ্যুৎ দপ্তরের স্টেশন ম্যানেজার অভিজিৎ মুদি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু পরিবার গ্রেটারের সদস্য এই পরিচয় দিয়ে বিল দিচ্ছেন না। এদের উৎসাহিত করছে কিছু নেতা। শুধুমাত্র নয়াবস্তি সেক্টরে গত ৫ বছরে এইরকম পরিবারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০০। এদের মোট বকেয়া বিল ৮০ লাখ টাকার কাছাকাছি। আমরা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও এই জাতীয় সমস্যা মিটিয়েছি। কিন্তু গ্রেটারের সদস্যরা আসেননি। আমরা এদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে নিজেরাই আবার জোড়া লাগিয়ে নেয়। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আমরা আজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে টিম নিয়ে এলাকায় গিয়ে কিছু গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিই। কিন্তু, ফেরার পথে আমাদের ঘেরাও করে রাখা হয়।” তবে বিল দিতে নারাজ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সত্তারুল হক সরকার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “আমরা বিদ্যুৎ বিল বয়কট করেছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিদ্যুতের বিল দেব না।”