Jalpaiguri : ৪ লক্ষ টাকা বকেয়া, সুইসাইড নোট লিখে বিডিও অফিসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৌতমের

Jalpaiguri : আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। সেখান তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

Jalpaiguri : ৪ লক্ষ টাকা বকেয়া, সুইসাইড নোট লিখে বিডিও অফিসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা গৌতমের
এই কীটনাশক খেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন গৌতম দাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2023 | 11:17 PM

জলপাইগুড়ি : সুইসাইড (Suicide) নোট লিখে বিডিও অফিস গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যাক্তির। বুধবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি (Maynaguri) বিডিও অফিসে (BDO Office)। সূত্রের খবর, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিডিও অফিসে দফায় দফায় খাবার সাপ্লাই করেছেন গৌতম দাস (৫৬) নামে ওই ঠিকাদার। অভিযোগ, গত ৪ বছরের হিসাবে বিডিও অফিসে তাঁর চার লক্ষাধিক টাকার বকেয়া রয়েছে। অভিযোগ, বারবার আবেদন করেও তাঁর পাওনা টাকা তিনি পাননি। সে কারেই চরম রাস্তা বেছে নেন তিনি। বুধবার বিকেলে একটি সুইসাইড নোটও লিখে ফেলেন। বাড়ি থেকে সোজা চলে যান ময়নাগুড়ি বিডিও অফিসে। সকলের সামনেই খেয়ে ফেলেন কীটনাশক। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা দেখে সেই সময় বিডিও অফিসে উপস্থিত ব্যক্তিরা হতবাক হয়ে যান। 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। সেখান তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেই বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর ছেলে বর্নজিৎ দাস বলেন, “আমরা ছোট ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের চার লক্ষের বেশি টাকার বকেয়া বিল পড়ে রয়েছে। বিল পাচ্ছিনা। আজ আমাদের ইলেকট্রিক সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এরপর বাবা এই কান্ড করে বসলো। বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো না। জানি না এরপর কী হবে!” 

ঘটনায় ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী জানিয়েছে, যেই সময়ের বিল সেই সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। পাশাপাশি গৌতম দাসের কাছে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে বুধবার যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন তিনি অফিসে ছিলেন না। তবে তিনি অফিসের অন্যান্য কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছেন এক ব্যাক্তি ওষুধ জাতীয় কিছু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার পরেই তাঁকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।