Electric Shock: ঝিলা মাছ ধরতে ইলেকট্রিক শক! বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কা পরিবেশপ্রেমীদের

ঝিলা মাছের দেখতে অনেকটা রুপোর মত চকচকে। তবে পাখনা ও লেজ সোনালী রঙের হয়ে থাকে। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের চাহিদাও প্রচুর। বাজারে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাছ।

Electric Shock: ঝিলা মাছ ধরতে ইলেকট্রিক শক! বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্টের আশঙ্কা পরিবেশপ্রেমীদের
ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2023 | 11:47 AM

ধূপগুড়ি: অসাধু মৎস্য শিকারীদের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের রুপোলি শস্য ঝিলা মাছ। ডুয়ার্সের অধিকাংশ নদীতে অবৈধ ভাবে চলছে ব্যাটারির মাধ্যমে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ শিকার। এমনই ছবি ধরা পড়েছে টিভি৯ বাংলার ক্যামেরায়। একদিকে যেমন হারিয়ে যাচ্ছে ঝিলা মাছ তেমনি মাছের পোনাও কিন্তু মারা যাচ্ছে। যতটা না মাছ ধরা পড়েছে তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে মাছের। যার জেরে নদীর বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে এই অবৈধ মাছ শিকার আটকাতে কে পদক্ষেপ নেবে? বন দফতর নাকি মৎস্য দপ্তর? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

জলপাইগুড়ি বন বিভাগের অন্তর্গত মোরাঘাট জঙ্গলের কখনও ভিতর, কখনও পাশ দিয়ে একে বেঁকে বয়ে গিয়েছে নোনাই নদী, আংরাভাসা, ডুডুয়া, গরাতি। ডুয়ার্সের জলঢাকা, মামনি, গ্লান্ডি এই সমস্ত নদীতে প্রচুর পরিমানে মিলত নদীর মাছ ‘ঝিলা’। স্বাদের জন্য এই মাছের চাহিদা বাজারে প্রবল। আর এই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছের জোগান দিতে গিয়ে ব্যটারির শক দিয়ে মাছ মারার প্রবনতা বাড়ছে নদীতে। এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত পরিবেশ প্রেমীরা। অতীতেও এ ধরনের প্রবনতা দেখা গিয়েছিল।

কেমন দেখতে ঝিলা মাছ?

ঝিলা মাছের দেখতে অনেকটা রুপোর মত চকচকে। তবে পাখনা ও লেজ সোনালী রঙের হয়ে থাকে। অত্যন্ত সুস্বাদু এই মাছের চাহিদাও প্রচুর। বাজারে ১০০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাছ। পরিবেশ প্রেমীদের দাবি, ব্যাটারির শকের কারণে বড় মাছ গুলি মারা যাওয়ার পাশাপাশি ডিম, ছোট মাছ গুলি নষ্ট হওয়ার কারনে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ে। এই মাছ খাওয়া মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। তাই প্রশাসনের উচিৎ রুটিন টহলদারি চালানোর পাশাপাশি যেখানে এই মাছ গুলি বিক্রি হচ্ছে সেখানে যতটা সম্ভব খতিয়ে দেখা।

যদিও বন দফতরের সূত্রে জানানো হয়েছে, জঙ্গলের আওতাভুক্ত এলাকায় বনদফতরের তরফে রুটিন মাফিফ বিষয়টি দেখা হয় ও মাছ ধরতে দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে জঙ্গলের বাইরের এলাকা বনদফতরের এক্তিয়ারে পরে না।