Funeral: ‘১১১ বছর বেঁচেছেন, এটাই আনন্দের’, নাচে-গানে অন্তিমযাত্রা বৃদ্ধার
Funeral: মৃত বৃদ্ধার ছেলে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। তিনি জানান, মা এত বছর বেঁচে ছিলেন, এটাই আনন্দের কথা।
জলপাইগুড়ি: ১১১ বছর বৃদ্ধার অন্তিম যাত্রায় হাজির ব্যান্ড পার্টি। নাচে-গানে হুল্লোড়ে ঠাকুমাকে বিদায় জানালেন নাতি, নাতনি ও তাঁর পরিবার-পরিজনেরা। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরঘাটায়।
গ্রামের বাসিন্দা নিপুতি রায়ের মৃত্যু হয়েছে বার্ধক্যজনিত কারণে। পরিবারের দাবি, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১১ বছর। বর্তমানে তার পরিবারে রয়েছেন, পাঁচ ছেলে, এক মেয়ে, নাতি, নাতনি সহ প্রায় ৬০ জন। বেঁচে থাকাকালীন তাঁকে নাকি কোনও দিন তেমন কোনও রোগে ভুগতে হয়নি। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, মৃত্যুর আগে কোনও কষ্ট ভোগ করতেও হয়নি বৃদ্ধাকে। দিব্যি হেঁটে চলে বেড়াতেন। তাই মৃত্যুর পরেও যাতে তাঁর আত্মা কোনও কষ্ট না পায়, সেই জন্য মৃত্যুশোক ভুলে আনন্দের আয়োজন করেছেন তাঁরা। শেষ যাত্রায় ছিলেন তাঁর প্রতিবেশীরাও।
মৃত বৃদ্ধার ছেলে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। তিনি জানান, মা এত বছর বেঁচে ছিলেন, এটাই আনন্দের কথা। তাই নাতি নাতনিরা এই সব ব্যবস্থা করেছেন।
এর আগেও অবশ্য এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে এই জলপাইগুড়িতেই। ১১৩ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যুতে অন্তিমযাত্রা দেখে বোঝার উপায় ছিল না আনন্দ অনুষ্ঠান কি না।
মৃতের বয়স ১১৩, তাই এ বিশ্বের অনেক কিছুই নাকি দেখে নিয়েছেন তিনি, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার পরিজনেরা। শতবর্ষ পেরনো বৃদ্ধার শ্মশান যাত্রায় ডিজে বাজিয়ে নাচ-গানে মেতে উঠলেন শ্মশান যাত্রীরা। এই ছবি দেখা গিয়েছিল পড়ল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে। এবার ফের সেই একই রকম ঘটনা জলপাইগুড়িতে।