Congress : জেলাশাসকের দফতরে ডেপুটেশন জমাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, যুব কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের
Congress : মিছিলে উত্তেজনার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুয়োমটো মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ। ঘটনায় আইসি কোতোয়ালিকে সুয়োমোটো এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো।
জলপাইগুড়ি: আবাস যোজনার দূর্নীতি, বেকারত্ব সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে জেলা শাসকের দফতরে অভিযানের ডাক দিয়েছিল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা যুব কংগ্রেস (Youth Congress)। মিছিল শুরু হতেই বেধে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তিতেও জড়াতে দেখা গেল বিক্ষোভকারীদের। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাওয়া মাত্র আগেই জেলাশাসকের দফতরের সামনে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। কিন্তু, সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় কংগ্রেসের মিছিল। উঠতে থাকে স্লোগান। পুলিশ কর্মীরা কংগ্রেস সমর্থকদের বাধা দিলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।
ব্যরিকেড ভেঙে জেলাশাসকের দফতরের দিতে ছুটতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাঁদের অনেককেই ধরতে পারেনি। এরপর জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার প্রধান কোলাপসেবল গেটের সামনে অবস্থানে বসে পরেন কংগ্রেস কর্মীরা। তবে তাঁদের ডেপুটেশন গ্রহন করেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক। এদিনের অভিযানে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ যুব কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আজাহার মল্লিককে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা ও প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। ছিলেন জেলা যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও যুব কংগ্রেসের সদস্যরা।
মিছিলে উত্তেজনার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুয়োমটো মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ। ঘটনায় আইসি কোতোয়ালিকে সুয়োমোটো এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজাহার মল্লিক বলেন, “আমরা ১১ দফা দাবি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, বাংলার পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের তরফে ডেপুটেশন দিতে এলে চা-কফি, ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ডিএম সাহেবরা। আর আমরা এলে পুলিশ আর হাতে লাঠি। এই লাঠি দিয়ে যুব কংগ্রেসকে কিছু করতে পারবে না। আমরা আমাদের কাজ করব। এই পুলিশ যদি সৎ হয়ে যায়। তৃণমূলের কাছ থেকে সরে যায় তাহলে তৃণমূল দলটা বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ঝাণ্ডা তোলার লোক পাবে না এরা।”