North Bengal Weather: গর্জন বাড়ছে তিস্তার! দক্ষিণের পর এবার ভয় ধরতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গে
Teesta river: এলাকায় এখন জল ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার।
জলপাইগুড়ি: বাংলায় দুর্যোগের ঘনঘটা অব্যাহত। একের পর এক নিম্নচাপকে সঙ্গী করে প্রতিদিন এগিয়ে চলছে বাংলার মানুষ। বাংলার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত ছবিটা সেই একই। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে যে বন্যা দেখা দিয়েছিল,তার ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি এখনও মানুষজন। মাঝে দুর্গাপুজোর সময় কয়েকদিন বিরতি ছিল। ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এখন আবার খবরে উত্তরবঙ্গ। তিস্তা নদীতে আচমকাই জলস্ফীতি। যার জেরে বন্যা দুর্গত বহু মানুষ। পরিস্থিতি সরজমিন তদন্ত করতে তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা দল নিয়ে রাতভর ঘুরে দেখলেন পুলিশ সুপার।
জলপাইগুড়ি তিস্তা ব্রিজ সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লিতে হাজার চারেক মানুষ বসবাস করে। সেই এলাকায় এখন জল ঢুকতে শুরু করেছে তিস্তার। এই খবর পেয়ে রাতেই টিম নিয়ে পৌঁছে যান পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত কাজে লাগায় পুলিশ।
এদিন রাতে বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ডি এস পি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল ও আই সি কোতোয়ালি অর্ঘ্য সরকার । স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবার নির্দেশ দেন তিনি।
অপরদিকে তিস্তার মৌয়ামারি চড়ে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার আটকে রয়েছে এমনটাই খবর। সেই খবর পেয়ে রাতেই সেখানে যান পুলিশবাহিনী। তাদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় তারা।
অপরদিকে, জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে নামানো হয়েছে এনডিআরএফ দল। তাদের মাধ্যমে কিছু এলাকায় পানীয় জল পাঠানো হয়েছে।
এদিকে,কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সপ্তাহান্তেই দুর্যোগ মিটবে। তারপরেই রাতের দিকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে। হালকা ঠাণ্ডা বাতাস বইবার সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর, শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে অনুভূত হবে শীত এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে যে নিম্নচাপটি ছিল সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বিহারের উপর অবস্থান করছে। যার জেরে আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত চলবে। উপকূলের কাছাকাছি যে জেলাগুলি বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর ও হাওড়ায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকবে।
মোটামুটিভাবে, বৃহস্পতিবার থেকেই আকাশ পরিষ্কার হতে শুরু করবে। উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গ স্থিতিশীল হলেও উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া মালদা ও দুই দিনাজপুরেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে।
আরও পড়ুন: Harikrishna Dwivedi: এখনও হাতের বাইরে যায়নি পরিস্থিতি, করোনা নিয়ন্ত্রণে জরুরি নির্দেশ মুখ্যসচিবের