Elephant Corridor: বিকেলের মধ্যে খালি করতে হবে তিস্তার চর, নাহলেই আইনানুগ ব্যবস্থা
Jalpaiguri: বিকেলের পর চরে মানুষ জনকে দেখা গেলেই আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যদি কাউকে বুনো হাতিদের উত্যক্ত করতে দেখা যায়, তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বন দফতর।
জলপাইগুড়ি: বিকেল পাঁচটার মধ্যে ছাড়তে হবে তিস্তার চড়। না ছাড়লেই আইনানুগ ব্যবস্থা। এমনটাই মাইকিং করা হচ্ছে বন দফতরের তরফে। শনিবার দুপুর থেকে এই নিয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিল বন দফতর (Forest Department)। বিকেলের পর চরে মানুষ জনকে দেখা গেলেই আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যদি কাউকে বুনো হাতিদের উত্যক্ত করতে দেখা যায়, তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বন দফতর।
উল্লেখ্য, হাতির চলাচলের পথ দখল করে বাড়িঘর তৈরি করে চাষ আবাদ করার অভিযোগ মাঝে মধ্য়েই শোনা যায়। এই ঘটনার জেরে বুনো হাতি চলাচলের পথে বিঘ্ন ঘটছে বলেও অভিযোগ। আর সেই কারণেই সাম্প্রতিককালে মানুষের সঙ্গে হাতির সংঘাতও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার বিকেলের মধ্যে তিস্তা নদীর চর এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করেছে বন দফতর। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রানহানি ঠেকাতে এই মাইকিং করা হয়েছে। ওই মাইকিং-এর সময় বলা হচ্ছে, চড়ে হাতি চলাচলের পথে, যাঁরা বসবাস করছেন এবং চাষাবাদ করছেন, তাঁদের আজ বিকেল ৫ টার মধ্যে চড় ছেড়ে চলে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, পাকা ধান এবং সব্জির লোভে সম্প্রতি জঙ্গল থেকে তিস্তার চর এলাকায় চলে আসছে হাতির দল। আর এই হাতির দলকে তাড়িয়ে দিতে ট্র্যাক্টর দিয়ে তাড়া করছে তিস্তা চড়ের একাংশ কৃষক। এরই মধ্যে শনিবার ভোরের দিকে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক গ্রামবাসীরও। আর এরপরই কড়া পদক্ষেপের পথে বন দফতর।
জলপাইগুলির তিস্তার চর হল হাতি চলাচলের অন্যতম করিডর। বর্তমানে এই এলাকায় চরের উপর প্রচুর পাকা ধান ও শাক সব্জি রয়েছে। আর সেই সব খাবারের লোভে সম্প্রতি ঘন ঘন রাত বাড়লেই বৈকন্ঠপুর জঙ্গল ছেড়ে তিস্তার চরে ঢুকে পড়ে বুনো হাতির দল। গতকালই হাতির হানায় নীলকান্ত ওঁরাও নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।