Dhupguri: খেলার জন্য বরাদ্দ মাঠ ব্যবহার হচ্ছে অভিষেকের সভায়? ক্ষোভ উগরে দিলেন ধূপগুড়িবাসী
Jalpaiguri: ধূপগুড়ি শহরের একমাত্র খেলার মাঠ নষ্ট করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ তৈরি করাকেকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।
ধূপগুড়ি: শিশুদের জন্য একটি মাত্র খেলার মাঠ। তাও আবার তা নষ্ট করে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ তৈরি করার জন্য। এখানেই প্রশ্ন শাসকের জন্য কি আইনের বদল হয়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ধূপগুড়ি বাসির মধ্যে। যদিও, শাসকদলের চোখ রাঙানিকে ভয় পেয়ে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।
ধূপগুড়ি শহরের একমাত্র খেলার মাঠ নষ্ট করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সভামঞ্চ তৈরি করাকেকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা। যার জেরে রাজনৈতিক উত্তাপ জলপাইগুড়িতে। আন্দোলনে খেলোয়াড় থেকে বিরোধীরা।
আগামী ১২ জুলাই ধূপগুড়িতে রাজনৈতিক সভা করতে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগেই খেলার মাঠে বাঁশের খুঁটি পোতাকে কেন্দ্র করে শুরু হল রাজনৈতিক তরজা। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত নম্বর ‘টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ সভার জন্য ধূপগুড়ি ফুটবল ময়দানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যে ফুটবল ময়দানের খেলার মাঠকে কোনওদিন খেলা বাদে অন্য কোনও কর্মসূচিতে ব্যবহার করা যাবে না বলে বরাদ্দ করা রয়েছে পৌরসভার খাতায়। সেই ফুটবল ময়দানের মাঠকেই এবার জনসভার জন্য ব্যবহার করবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। কীভাবে মিলল খেলার মাঠ ব্যবহারের অনুমতি? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এমনকী এর আগে অনেকবার তাবড়-তাবড় নেতাদের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ধূপগুড়ির এই মাঠকে জনসভার জন্য ব্যবহার করতে চাইলেও অনুমতি মেলেনি। তবে কি শাসকের জন্য আইনের বদল? এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও ক্যামেরার সামনে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।
এ দিকে, সোমবার সকালে গিয়েও দেখা গেল মাঠে অনুশীলন করছেন খেলোয়াড়রা। মাঠে সভার জন্য প্যান্ডেলের কাজ শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। কারণ সামনেই খেলা রয়েছে পাশের জেলা কোচবিহারের মাথাভাঙায়। অথচ তার আগে ঠিকমতো হচ্ছে না প্র্যাক্টিস।
খেলোয়াড়দের দাবি খেলার মাঠে বড়-বড় গর্ত তৈরি করে প্যান্ডেল তৈরি করা হলে খেলার মাঠ নষ্ট হবে। তাই তাঁরা চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা অন্যত্র করা হোক। শহরবাসী প্রশ্ন তুলছে কেন একমাত্র খেলার মাঠকে নষ্ট করে এই রাজনৈতিক সভার করা হচ্ছে কেন বিকল্প মাঠে করা হলো না?
যদিও, এর আগে সিপিএম ধূপগুড়ি পৌরসভায় ক্ষমতায় থাকাকালীন সিপিএমের তাবড়-তাবড় নেতাদের সভা করার অনুমতি দেয়নি পৌরসভা। এমনকি দেশের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ একাধিক সংগঠনের সভা উৎসব করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে কেন তার জন্য এই খেলার মাঠ নষ্ট করা হচ্ছে? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।
রাজেশ কুমার সিং, ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল জেলা সম্পাদক বলেন, ‘এটা প্রথম নয়। এর আগেও ধূপগুড়ি অনুষ্ঠানও করেছিলাম। তাই প্রশ্ন না করে বিষয়টিকে সমর্থন করা দরকার। ওখানে একটি শিট রাখা হয়েছে। সেই শিটের উপর সভা করা হয়েছে। তাই কোনও সমস্যা হবে না।’ বিজেপির প্রতিনিধি বলেন, ‘আগত প্রজন্ম খেলাধূলা করে। সেই খেলার স্বার্থে এই মাঠ পুরসভা বরাদ্দ করেছিল। এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হচ্ছে। এর আমরা বিরোধিতা করি। ‘