Dhupguri: টিন টিন গুড় নিয়ে সেতু থেকে ঝুলছে পিকআপ ভ্যান, কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এত গুড়, কারণ শুনলে চমকে যাবেন…
Malbazar: মালবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গাজোলডোবা এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানকে আটক করে পুলিশ।
জলপাইগুড়ি (ধূপগুড়ি): গুড় ভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়ে গাড়িটি। পিকআপ ভ্যানের চালকের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে গাড়িতে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাঁরাই বারবার বলছিলেন, গাড়ি ঠিক করে না চালালে মারবে। সেই সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারায় তাঁর স্টিয়ারিং। চেল নদীতে পড়তে পড়তে বেঁচে যায় গাড়িটি। কোনওরকমে চেল সেতুর রেলিং ভেঙে সেটি আটকে যায়। গাড়ির পিছনের অংশটি আটকে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তিনজনই। যদিও মাল থানার আইসি সুজিত লামার অভিযোগ, ওদলাবাড়ির চেল সড়ক সেতু পেরোনোর সময় পিকআপ ভ্যানের চালক ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ গাড়িটিকে সেতুর গার্ডওয়াল ভেঙে প্রায় ৫০ ফুট নীচে খরস্রোতা চেল নদীতে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে সোমবার দুপুরে মালবাজার থানার চেল সেতুর উপর হইচই শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এই গুড় নাকি চোলাই তৈরির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সে কারণেই আটক করা হয় গাড়িটিকে।
মালবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গাজোলডোবা এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানকে আটক করে পুলিশ। গাড়িটিতে টিন টিন ভর্তি গুড় ছিল। পুলিশের দাবি, ওই গুড় চোলাই মদ তৈরির জন্য নিয়ে মজুত করার পরিকল্পনা ছিল। পুলিশ তাই গাড়িটি আটকে থানায় নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু গাড়ির চালকের দাবি, চেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। তাতেই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান এবং পিকআপ ভ্যানটি চেল সেতুর রেলিং ভেঙে নদীতে পড়তে পড়তে আটকে যায়। গাড়ির বেশির ভাগ অংশই নদীর দিকে ঝুলে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন চালক এবং গাড়িতে থাকা দুই সিভিক কর্মী। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং পুলিশ পিকআপ ভ্যানের দরজা ভেঙে আহতদের উদ্ধার করে ওদলাবাড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গাড়ি চালকের আত্মীয়স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। এমনকী পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগও ওঠে। মাল থানার আইসি সুজিত লামা জানান, পিকআপ ভ্যানের চালকের ইচ্ছাকৃত এই ঘটনার জন্য চালক শিবেন শৈব নিজেও আহত হন। একইসঙ্গে আঘাত লাগে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার জয়দেব দত্ত এবং তপু রায়ের। ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যদিও তিনজনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়।