Jalpaiguri BJP: কালী বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে ‘পুলিশি বাধা’র মুখে বিজেপি
Jalpaiguri BJP: কালী সংক্রান্ত মহুয়া মৈত্রর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ ও তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে যান জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।
জলপাইগড়ি: কালী বিতর্কে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে বিজেপি নেতৃত্ব। থানায় ঢুকতে পারলেন না বিজেপির জেলা সভাপতি। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা। কালী সংক্রান্ত মহুয়া মৈত্রর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ ও তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে যান জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।
থানায় যাবার পর আইসির হাতে এফআইআর জমা করতে গেলে প্রথমে বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষ ও আরও দু’জন থানায় ঢোকেন। তাঁদের পিছনেই ছিলেন বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী ও আরও কয়েকজন। তাঁরা থানার ভেতর ঢুকতে গেলে তাঁদের আটকে দেয় থানার সেন্ট্রি ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মী।
তিনি বলেন, “এক সঙ্গে ৩ জনের বেশি থানায় প্রবেশ বারণ রয়েছে। তাই আমি আপনাদের ভেতরে যেতে দিতে পারছি না। এরপর ওই পুলিশ কর্মীর সঙ্গে তুমুল বাকযুদ্ধ শুরু হয় জেলা সভাপতির।”
যাঁরা প্রথমে এফআইআর জমা দিতে থানার ভেতর ঢুকেছিলেন, তাঁরা অভিযোগপত্র জমা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশের নিন্দা করেন।
এদিন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “আমরা ৫ জন মিলে থানায় ঢুকতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আটকে দিয়ে বললো ৩ জনের বেশি যাওয়া যাবে না। বিজেপি কর্মীরা থানায় এলেই তাদের আটকে দেওয়া হয়।” তিনি অভিযোগ করেন, “যখন তৃণমূল নেতারা বা বিশেষ এক জাতীয় পোশাক পরা লোকেরা থানায় এলে এই আইন কর্পূরের মতো উবে যায়।”
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীদের বেলায় যত নিয়ম কার্যকরী করে পুলিশ। তিনি বলেন, “এই সব দেখে মনে হয় আমরা ভারতে নয় পাকিস্থানে আছি।”
এই বিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল বলেন, “থানার ভেতর লোক ঢোকার ব্যাপারে একটি প্রোটোকল রয়েছে। তাছাড়া ওঁরা তাঁদের অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া আজ পুলিশকে আগাম জানিয়েও ওঁরা আসেন নি। যদি আগাম জানিয়ে আসতেন তবে সেইভাবে আমরাও প্রস্তুত থাকতাম।”