Jalpaiguri Bengal BJP: শ্যামাপ্রসাদের ছবিতে লাথি মারার অভিযোগ! তুমুল অন্তর্কলহ গেরুয়া শিবিরে
Jalpaiguri Bengal BJP: একইসঙ্গে জেলার সমস্ত ব্লক ও বুথে জন্মদিবস পালন করেন তাঁরা। একই সঙ্গে এদিন সমান্তরালভাবে জলপাইগুড়ি শ্রী দয়াল হলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন্মদিবস অনুষ্ঠান পালন করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।
জলপাইগুড়ি: শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস পালন করতে গিয়ে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। জলপাইগুড়ি জেলায় আড়া আড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে দুই শিবির পৃথক ভাবে জন্মদিবস পালন করল। স্বাভাবিকভাবেই আরও অস্বস্তি বাড়ল পদ্মশিবিরে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় প্রার্থী পছন্দ না হয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়-সহ জেলার আরও কিছু দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ ওঠে দলের পক্ষ থেকেই। এরপর থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির দুই গোষ্ঠীর যেই গণ্ডগোল শুরু হয়েছে, তা আর থামার কোনও লক্ষ্ণণ দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার ছিল বিজেপির প্রাণপুরুষ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম দিবস। আর এই উপলক্ষে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী-সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা।
একইসঙ্গে জেলার সমস্ত ব্লক ও বুথে জন্মদিবস পালন করেন তাঁরা। একই সঙ্গে এদিন সমান্তরালভাবে জলপাইগুড়ি শ্রী দয়াল হলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় জন্মদিবস অনুষ্ঠান পালন করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা।
শুধু জেলা সদরেই নয়। একই সঙ্গে জেলার সব কয়টি বিধানসভা এলাকায় তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। যার মধ্যে রক্তদান,চক্ষু পরীক্ষা শিবির-সহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এদিন বিজেপির দুই শিবিরের একই অনুষ্ঠান দেখে রাজনৈতিক মহলে যেমন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের মুখ বলে পরিচিত অলোক চক্রবর্তী এদিন যেমন জেলা সম্পাদক উপস্থিত থেকেছেন। পাশাপাশি তিনি বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন। তার এই ভূমিকাকে জেলা সভাপতি দুই নৌকায় পা দেওয়া বলে অভিহিত করেছেন। এহেন ঘটনা নিরপেক্ষ বিজেপি কর্মীদের মধ্যে আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
এদিন জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “ভাবতেও খারাপ লাগে, যাঁরা দলীয় কার্যালয় ভাঙলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ছবিতে লাথি মারলেন, তাঁরাই আবার আজকে আলাদা অনুষ্ঠান করছেন। আবার অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করলাম, তাঁদের যিনি মুখ তিনি আবার আমাদের এখানে এসে ফুল মালা দিলেন। ওঁ আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুক। আর বর্তমান জেলা কমিটি এদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবে না।”
জেলা সভাপতির মন্তব্যে পালটা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা অলোক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “যারা বিজেপি পার্টিকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চান, সেই কোটিপতি জেলা সভাপতির কোনও গুরুত্ব আমার কাছে নেই। তাই ওঁ কি বললো, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। মানুষ জানে দলীয় কর্মীরা জানে আমরা কেমন। তাই আমি ওঁর কথার উপর কোনও মন্তব্য করবো না।”