এক সময় বাম ও কংগ্রেস দখল রাখত জলপাইগুড়ির। কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ঘাসফুল ফুটতে শুরু করে উত্তরবঙ্গের এই জেলাতেও। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। বিজেপির দাপট বাড়তে থাকে। ২০২১ সালেও তা বজায় ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দাপট সমাতে সক্ষম হবে ঘাসফুল শিবির? জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পূর্ণ ফল দেখতে ক্লিক করুন সংশ্লিষ্ট জেলায়⇒
⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓⇓
পূর্ব মেদিনীপুর || বাঁকুড়া || পশ্চিম বর্ধমান || পূর্ব বর্ধমান || বীরভূম || কোচবিহার || দক্ষিণ দিনাজপুর || হুগলি || হাওড়া || জলপাইগুড়ি || ঝাড়গ্রাম || উত্তর দিনাজপুর || মালদহ || আলিপুরদুয়ার || পঃ মেদিনীপুর || মুর্শিদাবাদ || নদিয়া || উত্তর ২৪ পরগনা || দক্ষিণ ২৪ পরগনা || পুরুলিয়া || দার্জিলিং || কালিম্পং |
⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑⇑
………………………………………………………………………………………………………………………………………
জেলার বোর্ড ভিত্তিক ফল ২০২৩ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ত্রিস্তর | মোট আসন | তৃণমূল | বিজেপি | কংগ্রেস | বাম | অন্যান্য | ত্রিশঙ্কু |
গ্রাম পঞ্চায়েত | ৮০ | ৬৬ | ৮ | ০ | ০ | ০ | ৬ |
পঞ্চায়েত সমিতি | ৯ | ৯ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
জেলা পরিষদ | ২৪ | ২৪ | ০ | ০ | ০ | ০ | ০ |
…………………………………………………………………………………
জেলা পরিষদ আসন ভিত্তিক ফল | ||
---|---|---|
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ১৯ | ২৪ |
তৃণমূল | ০০ | ২৪ |
বিজেপি | ০০ | ০০ |
বাম | ০০ | ০০ |
কংগ্রেস | ০০ | ০০ |
অন্যান্য | ০০ | ০০ |
পঞ্চায়েত সমিতি আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ২৩৪ | ২৩৮ |
তৃণমূল | ১৯৩ | ১৯২ |
বিজেপি | ৩৮ | ৪২ |
বাম | ১ | ০৪ |
কংগ্রেস | ১ | ০০ |
অন্যান্য | ০ | ০০ |
গ্রাম পঞ্চায়েত আসন ভিত্তিক ফল | ||
দল | ২০১৮ | ২০২৩ |
মোট আসন | ১৩৪৭ | ১৫০০/১৭০১ |
তৃণমূল | ৯২২ | ৯৫৭ |
বিজেপি | ৩০৮ | ৪৩৯ |
বাম | ৫৮ | ৬৭ |
কংগ্রেস | ২১ | ১০ |
অন্যান্য | ৩৮ | ২৭ |
একটা সময় জলপাইগুড়ি জেলাকে দু’টি ভাগে ভাগ করে চলত রাজনৈতিক ‘শাসন’। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চা বলয়ের রাশ ছিল সিপিএমের হাতে। আবার জলপাইগুড়ি শহর বা সংলগ্ন এলাকায় কংগ্রেসের যথেষ্ট দাপট ছিল। তবে ২০১১ সালে যখন রাজ্যে পালাবদল হয়, জোড়াফুল ফুটতে শুরু করে এ জেলার ইতিউতি। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি দখলে নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও সিংহভাগে পদ্মের থাবা। জলপাইগুড়ি সংসদ এলাকার মধ্যে রয়েছে মাল, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, মেখলিগঞ্জ বিধানসভা।
তবে ২০১৮ সালে গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ — তিনটে স্তরেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ওয়াকিবহাল মহল বলে, সেবার বিরোধীরা কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল। একইসঙ্গে অভিযোগও করে, গত পঞ্চায়েতে যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সে কারণেই পরের বছর লোকসভা ভোটে মানুষ শাসকদলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। এবার হারানো জমি আদৌ তৃণমূল ফেরাতে পারে কি না সেটা নিঃসন্দেহে বড় চ্য়ালেঞ্জ।
আগামী বছর আবারও লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই পঞ্চায়েত ভোট বিজেপির জন্য অ্যাসিড টেস্টের ময়দান। অন্যদিকে দিকে দিকে যেমন বামেরা আবারও লাল ফেরাতে মরিয়া, জলপাইগুড়িতেও সেই চেষ্টা চলছে। কংগ্রেস এবার আর বিরোধী নয়, তাদের দোসর।
জলপাইগুড়ি সেই জেলা যার সীমান্তে দুই দেশ। একদিকে ভুটান, অন্যদিকে বাংলাদেশ। আবার তিনটি জেলা জলপাইগুড়ির সীমানায়। দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার। নদ-নদীতে ভরা এই জেলা। তিস্তা, মাল, জলঢাকা, ডায়না, লিস, ঘিস, চেল, ব্রাহ্মণী, বালান আরও বহু নদী। এ জেলাতেই গরুমারা অভয়ারণ্য, চাপরামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য়। ২৩,৮১,৫৯৬ মানুষের বাস এ জেলায়। জেলার আয়তন ৩,৩৮৬ বর্গকিমি। সাক্ষরতার হার ৭৩.২৫ শতাংশ।
মাল, ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, মেখলিগঞ্জ, রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি — ৭টির মধ্যে ৪টি তৃণমূলের, ৩টি বিজেপির।
জেলায় একটিই লোকসভা আসন, নাম জলপাইগুড়ি। ২০১৪ সালে তৃণমূলের দখলে থাকলেও ২০১৯ সালে এই আসন বিজেপি জেতে। সাংসদ হন জয়ন্তকুমার রায়।
গ্রাম পঞ্চায়েত-৮০
আসন সংখ্যা-১৩৪৭
পঞ্চায়েত সমিতি-৭
আসন সংখ্যা-২৩৪
জেলা পরিষদ
আসন সংখ্যা ১৯
গ্রাম পঞ্চায়েত-
তৃণমূল-৯২২
বিজেপি-৩০৮
বাম-৫৮
কংগ্রেস-২১
নির্দল-৩৫
অন্যান্য-৩
পঞ্চায়েত সমিতি-
তৃণমূল-১৯৩
বিজেপি-৩৮
সিপিএম-১
কংগ্রেস-১
(১টিতে ভোট হয়নি)
জেলা পরিষদ
*সব আসনেই জয়ী তৃণমূল*