Jalpaiguri Leopard: ভেসে আসছিল কান্নার আওয়াজ, নালায় উঁকি দিতেই জ্বলজ্বল করছিল দুটো চোখ, শিউরে উঠলেন শ্রমিকরা
Jalpaiguri Leopard: সোমবার বাগানের বালাবাড়ির ৬ নম্বর সেকশনে ২ টি চিতা বাঘের শাবক দেখে আতঙ্ক ছড়ায় বাগানে।
জলপাইগুড়ি: কাজের মধ্যেই হঠ করে ওঁদের কানে এসেছিল অদ্ভুত রকমের একটা শব্দ। প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি তাঁরা। কিন্তু গোঙানি-কান্নার শব্দটা বেশ গাঢ় হচ্ছিল। শব্দের উৎস সন্ধানে চা বাগানের শ্রমিকরা উঁকি দেন নালার মধ্যে। তখনই দেখতে পান জ্বল জ্বল করছিল দুটো চোখ। প্রথমটায় কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। পরে সেই চিতাশাবককে উদ্ধার করেন তাঁরা। ডুয়ার্সের মাল মহকুমার রানিচেড়া চা বাগানের ঘটনা।
সোমবার বাগানের বালাবাড়ির ৬ নম্বর সেকশনে ২ টি চিতা বাঘের শাবক দেখে আতঙ্ক ছড়ায় বাগানে। জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে বাগানে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা কিছু একটা শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। আর তা শুনে উঁকিঝুঁকি দিতেই শ্রমিকরা সেই চিতাবাঘের শাবকগুলি দেখতে পান। নালার মধ্যে খেলা করছিল চিতাবাঘের শাবকগুলি। এরপর চা বাগানের শ্রমিকরা বাগান ম্যানেজারকে খবর দেন।
বাগান ম্যানেজারকে বিষয়টি জানালে তিনি দ্রুত বনদফতরকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনদফতরের কর্মীরা । যেহেতু শাবক, তাই সেগুলিকে উদ্ধার করা হয়নি,সেখানে থেকেই নজর দারি চালাচ্ছেন বন কর্মীরা।
শাবকগুলি নালায় কীভাবে এল, তাও খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা। চিতাবাঘের শাবকগুলিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। তবে শাবকগুলিকে যাতে কোনওভাবেই কেউ উত্ত্যক্ত না করেন, সেদিকেও নজর রেখেছেন বনকর্মীরা। এক পরিবেশবিদ জানিয়েছেন, নভেম্বর-ডিসেম্বর অর্থাৎ এই শীতের সময়টা জঙ্গলের পশুরা যে কোনও জায়গায় যেতে পারে, বিশেষত চাবাগান সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। সেক্ষেত্রে মানুষকেই সচেতন থাকতে হবে।