Jalpaiguri Murder: সকালে চা খেতে যাননি, বাপেরবাড়ি এসে মেয়ে দেখলেন মেঝেতে মা, আর পাশেই ভাই…স্তম্ভিত পড়শিরাও

Jalpaiguri Murder: সোমবার সকাল পর্যন্ত বিষয়টি কেউ আঁচও করতে পারেননি। কিন্তু প্রত্যেকদিন বাবলি মেয়ের বাড়িতে সকালের চা খেতে যেতেন।

Jalpaiguri Murder: সকালে চা খেতে যাননি, বাপেরবাড়ি এসে মেয়ে দেখলেন মেঝেতে মা, আর পাশেই ভাই...স্তম্ভিত পড়শিরাও
এলাকাবাসীর ভিড় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2022 | 1:15 PM

জলপাইগুড়ি: মাঝেমধ্যেই ওই বাড়িতে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। মা-ছেলের একান্তই পারিবারিক ঝামেলা ভেবে তাতে বিশেষত মাথা ঘামাতেন না তাঁরা। কিছুক্ষণ পর সেই বচসা থেমেও যেত। রবিবার সন্ধ্যাতেও চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়েছিলেন। রোজকার ঘটনা ভেবে আর আমল দেননি। কিন্তু সকালে দীর্ঘক্ষণ যখন প্রৌঢ়াকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখেননি, তখনই স্থানীয় মহিলাদের সন্দেহ হয়। ঘরে ঢুকে দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। শরীরে একাধিক ক্ষত। আর তার পাশেই বসে রয়েছেন ছেলে। টাকা নিয়ে বচসার জেরে নিজের মাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। তারপর রাতভর মায়ের মৃত দেহের পাশে বসে রইলেন তিনি। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায়। মৃত মহিলার নাম বাবলী ওঁরাও (৬২)। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম উত্তম।

সোমবার সকাল পর্যন্ত বিষয়টি কেউ আঁচও করতে পারেননি। কিন্তু প্রত্যেকদিন বাবলি মেয়ের বাড়িতে সকালের চা খেতে যেতেন। কিন্তু সোমবার সকালে আর তাঁকে ঘরের বাইরে দেখা যায়নি। তাতে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। মেয়েই এদিন মায়ের খোঁজ নিতে বাড়িতে আসেন। তিনি দেখতে পান, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর মা। পাশেই বসে রয়েছে তার ভাই উত্তম।

তখনই বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয়দের তরফে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তেলিপাড়ার ফাঁড়ির পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বানারহাট থানায়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছেন, কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে বচসা হয়। মা টাকা দিতে না রাজি হওয়াতেই ঝামেলা হচ্ছিল। তারই মধ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করেন উত্তম। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁর মা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ধৃত উত্তমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উত্তম পুলিশের হেফাজতে থাকায় তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উত্তমের মানসিক স্থিতাবস্থা ঠিক আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।