Jalpaiguri News: নদীর ধারে পায়ের ছাপ দেখেই আতঙ্ক ছড়ায়, এবার ধূপগুড়িতে ভালুক-আতঙ্ক
Jalpaiguri News: জল ঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকায় নাকি ভালুকের পায়ের ছাপও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। নিমেশের মধ্যে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
জলপাইগুড়ি: ফের ভালুকের আতঙ্ক ছড়াল গ্রামে। এবার ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের বগরিবাড়ি গ্রামে ভালুক দেখা গিয়েছে বলে কয়েকজন বাসিন্দা দাবি করেছেন। এর পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। জল ঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকায় নাকি ভালুকের পায়ের ছাপও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। নিমেশের মধ্যে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের। রাতে বন কর্মীরা ছুটে যান গ্রামে। কারণ পাশেই গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং রামশাই জঙ্গল। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে চাননি বন কর্মীরা। রাতভোর চলে বগরিবাড়ি এবং জলঢাকা নদী সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে। তবে ভালুকের দেখা পাওয়া যায় নি। এলাকাবাসীর দাবি, ভালুকের পায়ের ছাপও তাঁরা দেখেছিলেন কিন্তু এত মানুষ সেখানে যাওয়ায় সেটি পায়ে পায়ে মুছে গিয়েছে। তবে বনদফতরের তরফে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এক গ্রামবাসী বলেন, “আমাদের পাড়ার এক লোকই কালো মতো একটা কিছু দেখতে পেরেছিলেন। তিনি দাবি করেন এটা ভালুক। গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন ভিড় করেন। পায়ের ছাপও দেখতে পাওয়া যায়। তা দেখে মনে হয় ওটা ভালুকেরই পায়ের ছাপ হবে। বন দফতরের কর্মীরা এখন পায়ের ছাপটি খতিয়ে দেখছেন।”
এবার অজানা প্রাণীর কান্নার শব্দে নতুন করে ভালুকের আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে পাতকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান সংলগ্ন দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায়। আতঙ্ক কাটাতে বুধবার রাতে পরিবেশ কর্মী ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালালেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে একটি কালো লোমশ প্রাণীকে দেখে চা বাগানের চারজন চৌকিদার। এরপর থেকে ভালুকের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে আসে বনদফতর ও পুলিশ। আসেন পরিবেশ কর্মীরাও। এরপর ড্রোন দিয়ে তল্লাশি করেও কিছু পাওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগান সংলগ্ন দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় একটি অজানা প্রাণীর কান্নার শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসীরা। আর এতেই নতুন করে ভালুকের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে।
বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীরা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশান্ত রায়ের কাছে বিষয়টি জানালে, তিনি বুধবার রাতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিয়ে পরিবেশ কর্মী স্বরূপ মন্ডলের সহযোগিতায় এলাকায় তল্লাশিতে চালান। কিন্তু অনেক খোঁজাখুজি করেও কিছু পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন দাস বলেন, “আমি বেশ কয়েকবার কান্নার শব্দ পেয়েছি। আমরা খুব আতঙ্কিত। যখন ওই আওয়াজটা আসছে, বুক কেঁপে উঠছে। শীতের রাতে আওয়াজটা আরও বেশি প্রকট।”