Jalpaiguri Tea Garden Worker’s Welfare: চা শ্রমিকদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কোন কোন খাতে খরচ? বণিকদের দাবি নবান্নকে জানাবেন জেলাশাসক

Jalpaiguri Tea Garden Worker's Welfare: পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে থাকা চা বাগানের মহিলা শ্রমিক ও তাঁদের শিশুদের কল্যাণে ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে ১০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

Jalpaiguri Tea Garden Worker's Welfare: চা শ্রমিকদের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ কোন কোন খাতে খরচ? বণিকদের দাবি নবান্নকে জানাবেন জেলাশাসক
কমতে পারে চায়ের দাম (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 10:37 AM

জলপাইগুড়ি: কেন্দ্রের দেওয়া চা শ্রমিকদের জন্য বিশেষ তহবিল কোন খাতে খরচ করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করতে চা বণিকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে বসলেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক।

পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে থাকা চা বাগানের মহিলা শ্রমিক ও তাঁদের শিশুদের কল্যাণে ২০২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে ১০০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেইসময় তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী ৫ বছর ধরে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে চা শ্রমিকদের উন্নয়নের স্বার্থে। চলতি বছরে সেই টাকা রাজ্যে আসতে চলেছে।

তাই মহিলা চা শ্রমিক ও শিশুদের ঠিক কী প্রয়োজন, কোন জিনিস অবিলম্বে চাই, পাশাপাশি শ্রমিক কল্যাণে কোন কোন খাতে কীভাবে সেই টাকা খরচ করা যেতে পারে, তা নিয়ে বিষদে জানতে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের জেলাশাসদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি একটি জরুরি বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদী।

তার আগে সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলার চা বনিকদের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক করলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। চা বাগানের মালিকদের কাছ থেকে জেনে নিলেন শ্রমিক কল্যাণে জলপাইগুড়ি জেলায় ঠিক কী কী করা প্রয়োজন।

মালিকদের পক্ষ থেকে যে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে…

১) চা বাগানের শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ইএসআই ধাঁচের শ্রমিক হাসপাতাল করা।

২) ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা।

৩) নেশাগ্রস্ত যুবকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।

৪) অপুষ্টিতে ভোগা শ্রমিকদের জন্য স্পেশ্যাল ফুড বাকেট প্রদান।

৫) বন্যাপ্রবণ এলাকায় থাকা চা বাগানগুলিতে ১০০ দিনের কাজ বাড়িয়ে দেওয়া।

৫) চা বাগান থেকে অনেক ভালো খেলোয়াড় উঠে আসতে পারে, সে ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া। তাদের জন্য প্রকল্প ঘোষণা করা।

৬) চা বাগানের শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ভোকেশন্যাল ট্রেনিং দেওয়া।

৭) মহিলাদের হেলথ ও হাইজিন বিষয়েও বাড়তি নজর দেওয়া। বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদান।

৮) চা সুন্দরীর পাশাপাশি নতুন হাউজ়িং স্কিম।

৯) উচ্চশিক্ষার জন্য সাহায্য করা।

১০) চা বাগানে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান।

১১) চা বাগানের স্কুল গুলিতে ফ্যান সহ অন্যান্য জিনিসপত্র প্রদান।

বৈঠক প্রসঙ্গে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এদিন বলেন, “চা শ্রমিকদের আরও উন্নয়নের ব্যাপারে রাজ্যের তরফে মঙ্গলবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে এদিন আমরা চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ একাধিক বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ করা যায়, সে ব্যাপারে একাধিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচনায় উঠে আসা সেই সব প্রস্তাব নিয়ে জেলার তরফে রাজ্যের কাছে তুলে ধরা হবে।”

এদিনের এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নর্থ বেঙ্গল ব্রাঞ্চের সচিব সুমিত ঘোষ, ক্ষুদ্র চা চাষিদের সাধারণ সম্পাদক বিজয় গোপাল চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য আধিকারিক শঙ্করলাল ঘোষ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসনের এই ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে উপস্থিত সকলেই।

আরও পড়ুন: Cyber Crime: অজানা লিঙ্ক, আচমকা ভিডিয়ো কল, এসবেই লুকিয়ে আছে প্রতারণার ফাঁদ, কী ভাবে বাঁচবেন?