হু হু করে শিশুদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে উপসর্গ! কোভিড নেগেটিভ, এবার ভয় ধরাচ্ছে অন্য রোগ
Viral Fever: আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে এই উপসর্গে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আসেন।
জলপাইগুড়ি: কারোর জ্বর, কারোর পেট ব্যথা, কারওবা মাথা। উপসর্গ কমবেশি সবারই একই রকম। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি ধূপগুড়ি এবং মালবাজার, বানারহাট হাসপাতালেও ভাইরাল ফিভারে (Viral Fever) আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে এই উপসর্গে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে পরিবারের সদস্যরা আসেন। অধিকাংশ শিশুর জ্বর, মাথা ব্যথা আবার কারোর কারোর ক্ষেত্রে পেট খারাপ।
বানারহাট হাসপাতালে প্রায় ১০০ জনের মত রোগী ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। যাঁদের মধ্যে কয়েকজন রোগীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে যান।
একই ছবি ধূপগুড়ি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত ৪ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে ধূপগুড়ি হাসপাতালে। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর পরিবারের সদস্যরা নিয়ে চলে গিয়েছেন। করোনার আতঙ্কে অধিকাংশ পরিবার শিশুদের হাসপাতলে ভর্তি রাখতে চাইছেন না।
কিন্তু যে সমস্ত শিশুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের ভর্তি রাখা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। অনেকক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রায় ৮১ জন ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
অন্যদিকে বানারহাট হাসপাতালে ১০০ জন রোগী ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত। ধূপগুড়ি হাসপাতাল শতাধিক রোগী ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন। যাঁরা বাইরে থেকেই চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন।
শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রাখার সাহস পাননি। তবে যে চারটি শিশুর জ্বর কোনওভাবেই কমছে না, তাঁদের ধুপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। একজনকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে।
বছর ছয়েকের এক শিশুর মা বললেন, “আমি কোভিড টেস্ট করিয়ে নিয়েছিলাম ছেলেকে। রিপোর্ট ভালো। কিন্তু জ্বর কমেনি। ডাক্তার বললেন ভর্তি করিয়ে দিতে।”
চিকিত্সক বলছেন, “দেখে তো ভাইরাল ফিভার মনে হচ্ছে। কোভিড পজিটিভ খুবই কম পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগই ভাইরাল ফিভার। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া হয় এখানে বেশি। তবে এবার সেরকমও কিছু নেই। ভাইরাল ফিভারে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুরাই বেশি। সবারই তবে ৬-৭ দিনের মধ্যে কমে যাচ্ছে। তবে রিপোর্ট ভাল। সুস্থ হয়ে যাচ্ছে সকালে।”
এদিকে, অজানা জ্বরে ভুগছে গোটা উত্তরবঙ্গ। অজানা জ্বরে ফের মৃত্য়ু আরও এক শিশুর। সোমবার রাতে, ময়নাগুড়ি হাসপাতালে অজানা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় একটি ৮মাসের শিশু। করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গতরাত থেকে শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও মঙ্গলবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। যদিও, পরপর দুটি শিশুর এভাবে মৃত্যু ঘটে যাওয়ার পরেও টনক নড়েনি জেলা প্রশাসনের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলেই দাবি করেছেন সিএমওএইচ জ্যোতিষচন্দ্র দাস।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: ফের অজানা জ্বরে মৃত ৮ মাসের শিশু, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক’ বলছে প্রশাসন!