Khageswar Roy: ‘আমি পার্থ নাকি? এত টাকা কোথা থেকে পাব?’ বেফাঁস তৃণমূল বিধায়ক
Khageswar Roy: কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন, "দোষ করলে শাস্তি পাবেন। কেন আগে বলেননি তিনি নির্দোষ?" ফিরহাদের কথায়, 'এই পার্থদাকে চিনি না...' সৌগতর কথায়, 'দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে।'
জলপাইগুড়ি: অপার অপার কেলেঙ্কারি। আর শাসকের অপার অস্বস্তি। দলের বিবেক হয়ে অভিষেক পথ দেখিয়েছেন। সেই পথে হেঁটেই একসময়ে ক্যাবিনেটে মমতার সেকেন্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কুণাল-ফিরহাদ-সৌগত। এবার খড়গহস্ত খগেশ্বর। যুব তৃণমূলের বৈঠকে বেফাঁস রাজগঞ্জের বিধায়ক। বেকায়দায় জেলা তৃণমূল।
শিক্ষাক্ষেত্রে লুঠতরাজের ছবিটা এখন দিনের মতোই স্পষ্ট। কোর্টের কলমের খোঁচায় হেভিওয়েট এখন ইডির শ্রীঘরে। হাজতে প্রাক্তন মন্ত্রীমশাইয়ের বান্ধবীও। ইমেজ বাঁচাতে ত্রাহি ত্রাহি শাসকদলও। তড়িঘড়ি আসরে নেমে ড্যামেজ কন্ট্রোলে অভিষেক। কুণাল ঘোষ প্রকাশ্যেই পার্থর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। চাপের মুখে পার্থর পাশে নেই ফিরহাদ সৌগতরাও।
কুণাল ঘোষ আগেই বলেছিলেন, “দোষ করলে শাস্তি পাবেন। কেন আগে বলেননি তিনি নির্দোষ?” ফিরহাদের কথায়, ‘এই পার্থদাকে চিনি না…’ সৌগতর কথায়, ‘দোষ করলে শাস্তি পেতেই হবে।’
এবার পার্থর ক্ষতে লঙ্কগুড়ো ছেটালেন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ঘাসফুল বিধায়কও। ব্লক যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ফুটবল ম্যাচের প্রস্তুতি বৈঠকে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের সামনেই খড়্গহস্ত খগেশ্বর রায়।
প্রকাশ্যে খগেশ্বর বলেন, “এত টাকা আমি কোথা থেকে পাব? আমি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি?” কিন্তু প্রশ্ন, হঠাত্ কেন এমন কথা বলতে গেলেন বিধায়ক? আগামী ৩-৪ অগস্ট ফুটবল ম্যাচের জন্য মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২ লক্ষ টাকা। দলীয় কর্মীদের আবদার ছিল, সিংহভাগটাই বিধায়ককে দিতে হবে। বায়না শুনেই খাপ্পা হয়ে ওঠেন খগেশ্বর। মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়ে সেই কথা, যা দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। খগেশ্বর বলেই ফেলেন, “এত টাকা আমি কোথা থেকে পাব? আমি কি পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি?”
কথাটা বলার পরই পরিস্থিতিটা ছিল দেখার মতো। বেফাঁস বলেই বিধায়ক চুপ। স্তব্ধ পারিষদরাও। পিন পড়লেও শোনা যাবে। খানিকক্ষণের ছেদ দিয়ে আবার বৈঠক শুরু হয় বৈকি। তবে খগেশ্বরের মন্তব্য যে জেলা তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে, অস্বস্তি বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।