KLO: বিভাজনের অভিযোগ তুলে গোপন ডেরা থেকে ফের মমতা-অভিষেককে বার্তা কেএলও প্রধানের
Jalpaiguri: প্রথমবারের মতো জীবন সিংহ উত্তরবঙ্গের অবাঙালি কোচ রাজবংশী, রাভা, মেচ, গারো, নস্যশেখ মুসলিম, আদিবাসী, নেপালির পাশাপাশি বাঙালিদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এর আগে বাঙালি বিরোধী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
জলপাইগুড়ি: ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন। উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করার অভিযোগ তুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কামতাপুর লিবারাইজেশন অর্গানাইজেশন ( KLO)-এর চেয়ারম্যান জীবন সিংহ। এই ঘটনার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও গোপন ডেরা থেকে ভিডিয়ো বার্তা দিলেন জীবন। এবার আর শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ শানাতে শোনা গেল তাঁর গলায়।
প্রথমবারের মতো জীবন সিংহ উত্তরবঙ্গের অবাঙালি কোচ রাজবংশী, রাভা, মেচ, গারো, নস্যশেখ মুসলিম, আদিবাসী, নেপালির পাশাপাশি বাঙালিদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন। এর আগে বাঙালি বিরোধী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গকে ভেঙে পৃথক রাজ্য গঠনের দাবির বিষয়ে বাঙালিরাও এখন সমর্থন করছেন। অনুমান করা হচ্ছে জীবন সিংহ তাঁদের সমর্থনকে সম্মান জানিয়েছেন। শনিবারের ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের কোনও অধিকার নেই এই কামতাপুরের মাটিতে বিভেদ ছড়ানোর।” এখানেই শেষ নয়। একই সঙ্গে তিনি জানান, “কামতাপুরের মাটিতে কোচ-রাজবংশী, পালিয়া, রাভা, মেচ, গারো, নস্যশেখ, মুসলিম, আদিবাসী, নেপালি, বাঙালি, হিন্দিভাষীদের মধ্যে বিভাজন ঘটাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘এগুলো নতুন করে বলার কিছু নেই। কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হয়ে গেল। এত মানুষের সমর্থন ছিল তাঁদের সঙ্গে। কারোর তো বিভাজনের কথা মনে হয়নি। বিভাজন রুখেছেন মা-মাটি-মানুষের সরকার। একসময় গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে উত্তাল ছিল যখন পাহাড় থেকে সমতল। এরপর সরকার পরিবর্তন হয়। তখন জনজাতির বিষয়ে ভাবেন মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। উন্নয়ন করেন তিনি।’
বস্তুত, ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন জীবন সিংহ প্রকাশ করেছিলেন একটি ভিডিয়ো বার্তা। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, কামতাপুর থেকে কোনও নেতা বা ব্যবসায়ীকে ফিরতে দেওয়া হবে না। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কেএলও-র সদস্য কৈলাশ কোচ ও তার পরিবারকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জীবন সিং। তাঁর দাবি, কৈলাশ কোচকে কোনও গোপন জায়গায় আটকে রেখে তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। কৈলাশ কোচকে মুক্তি না দিলে যুদ্ধের পথে হাঁটবেন বলে দাবি করেছেন কেএলও সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘কে জেতে, আমি দেখে নেব।’