লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্মের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ, হাতেনাতে পাকড়াও এক মহিলা

Duare sarkar: ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগে এক মহিলাকে রাজগঞ্জের একটি দুয়ারে সরকার শিবির থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্মের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগ, হাতেনাতে পাকড়াও এক মহিলা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2021 | 9:41 PM

জলপাইগুড়ি: ফের টাকার বিনিময়ে ফর্ম পূরণের অভিযোগ। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে এক মহিলাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জে।

দুয়ারের সরকারের ফর্ম পূরণ করার জন্য নেওয়া হচ্ছিল টাকা। এই অভিযোগে এক মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে ক্যাম্পে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজগঞ্জের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজগঞ্জ বন্দর মহিলা বিদ্যালয়ে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার টাকার বিনিময়ে ফর্ম পূরণের অভিযোগ উঠল রাজগঞ্জ ব্লকে। প্রথম বার গ্রেফতার হন চারজন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজগঞ্জ বন্দর বালিকা বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার। সেখানে ফর্ম পূরণ করার জন্য মহিলাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরই এক মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও ওই মহিলার নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি করার অভিযোগে এক মহিলাকে রাজগঞ্জের একটি দুয়ারে সরকার শিবির থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচে না। তেমনি তৃণমূল কাটমানি ছাড়া বাঁচতে পারবে না। খোঁজ নিয়ে দেখুন ওই মহিলা তৃণমূল কর্মী। আসলে এরা সব চুনোপুঁটি। আসল রাঘব বোয়ালদের ধরা উচিৎ।” এ প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুয়ারে সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। অতএব এখানে যারা দুর্নীতি করবেন, তাঁরা কেউ ছাড় পাবে না।”

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ঘোষণার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই প্রকল্পের ফর্ম পাবেন মহিলারা। দুয়ারে সরকার শিবিরেই থাকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আলাদা কাউন্টার। সেখানেই মিলবে ফর্ম। সেই ফর্মে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। সেই নম্বরের রেকর্ড সরকারের কাছেও থাকবে। কোনও ভাবেই এই ফর্ম জেরক্স বা ডুপ্লিকেট করা যাবে না। এই ফর্ম ছাড়া অন্য কোনও ফর্ম নেওয়াও হবে না। কেউ যাতে এই ফর্মের অপব্যবহার করতে না পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কর জমা দেওয়ার কোনও ধরনের বাধ্যবাধকতাও নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গোটা প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যদি কোনও বেনিয়মের অভিযোগ থাকে, তার জন্য পৃথক হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে রাজ্য। এই নম্বরটি সোজা মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। ১০৭০ অথবা ২২১৪ ৩৫২৬- এই টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালেই সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।