Liquor Shop: সবেমাত্র কাউন্টার খোলেন, কোমরে আঁচল গুঁজেই ঝাঁপালেন, বিলেতি মদের দোকানে ঝাঁকে ঝাঁকে মহিলার ভিড়

Liquor Shop: দোকানে থাকা নামী ব্র্যান্ডেড মদের বোতল-সহ দোকানের কাচের টেবিল ও আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা চলে হাজির হয় আমবাড়ি ফালাকাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। প্রমিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

Liquor Shop: সবেমাত্র কাউন্টার খোলেন, কোমরে আঁচল গুঁজেই ঝাঁপালেন, বিলেতি মদের দোকানে ঝাঁকে ঝাঁকে মহিলার ভিড়
মদের দোকানে গ্রামের মহিলাদের ভিড়Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 09, 2024 | 5:24 PM

জলপাইগুড়ি: সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে লুঠপাঠ। উত্তেজনা রাজগঞ্জে।রাজগঞ্জের আমবাড়ি ফালাকাটা থানা এলাকার গোকুল ভিটা এলাকায় থাকা একটি সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি মদের দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে তালা মেরে দিলেন গ্রামের মহিলারা। ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

এই দোকান বন্ধের দাবিতে আগেই সরব হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, তাতে গ্রামের যুব সমাজের মধ্যে খারাপ প্রভাব পড়বে। এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনাও বৃদ্ধি পাবে। মঙ্গলবার সকালে ওই দোকানের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন স্থানীয় মহিলারা। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর প্রমিলা বাহিনী ওই লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকানে গিয়ে ভাঙচুর চালান।

দোকানে থাকা নামী ব্র্যান্ডেড মদের বোতল-সহ দোকানের কাচের টেবিল ও আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা চলে হাজির হয় আমবাড়ি ফালাকাটা পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ। প্রমিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রামের বাসিন্দা যশোদা বিশ্বাস, মিনা মণ্ডলরা জানান, এলাকায় মদের দোকান গড়ে উঠেছে। এখান থেকে মদ খেয়ে বাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে তাঁদের বাড়ির পুরুষরা। ফলে বাড়িতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের কথায়, “আমরা এই দোকান চলতে দেব না। তাই আমরা আজ একজোট হয়ে মদের দোকানের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছি।”

দোকানের ম্যানেজার জয় বিশ্বাস বলেন, “সরকারিভাবে লাইসেন্স নিয়ে এই দোকান করা হয়েছে। কিন্তু এই দোকানে এলাকার মহিলারা ভাঙচুর করে ক্ষয়ক্ষতি করে দিল। লুঠপাট চালানো হয়েছে। কিন্তু এখানে আরও অনেক অবৈধ মদের দোকান আছে। সেই দোকান গুলি নিয়ে মানুষের কোনও হেলদোল নেই। আমি এই বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করব। এইভাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকানে ভাঙচুর চালানোর কোন মানে হয় না।”

ঘটনায় জলপাইগুড়ি সদর মহকুমাশাসক তমজিৎ চক্রবর্তী জানান, এই বিষয়ে এখোনও কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।