Teesta River: হু হু করে গ্রামে ঢুকল তিস্তার জল, বুক দুরু দুরু কৃষকদের…
Jalpaiguri: এইমুহূর্তে আলু, বাদাম, কড়াইশুটি-সহ বিভিন্ন শীতের সবজির চাষ হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তায় জল বেড়ে গেলে তা নদীর পারকেও ছাপিয়ে যাবে। জল ঢুকতে শুরু করবে চাষের জমিতে। সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ তিস্তার কালিঝোড়া থেকে প্রায় ৪০০০ কিউমেক জল ছাড়া হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এতটা জল ছাড়ায় তিস্তাও ফুলেফেঁপে উঠেছে।
জলপাইগুড়ি: রাত বাড়তেই তিস্তা নদীতে জলস্ফীতি। আর নদীতে জল বাড়তেই কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের। তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তিস্তাপারের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সোমবার রাত থেকে নদীতে জল বাড়ছে। আর তাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ভয়, চাষের ক্ষতি হবে না তো? কেন না, তিস্তার পারে বারো মাসই চাষাবাদ চলে।
এইমুহূর্তে আলু, বাদাম, কড়াইশুটি-সহ বিভিন্ন শীতের সবজির চাষ হয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তায় জল বেড়ে গেলে তা নদীর পারকেও ছাপিয়ে যাবে। জল ঢুকতে শুরু করবে চাষের জমিতে। সোমবার বিকাল ৪টে নাগাদ তিস্তার কালিঝোড়া থেকে প্রায় ৪০০০ কিউমেক জল ছাড়া হয় বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এতটা জল ছাড়ায় তিস্তাও ফুলেফেঁপে উঠেছে।
বিকালে জল ছাড়া হয়। রাত ৮টার মধ্যে সেই জল এসে ঢোকে খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় কৃষক সুকুমার বিশ্বাসের কথায়, এই মুহূর্তে জমিতে আলু-সহ অন্যান্য সবজি রয়েছে। জল আরও বাড়লে চাষের জমি জলের তলায় চলে যাবে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ বারুইয়ের দাবি, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, শীতকালে সাধারণত তিস্তাতে এভাবে জল ছাড়া হয় না। তাই এই সময় সবচেয়ে বেশি চাষ হয়। এখনও অবধি যে পরিমাণ জল এসেছে তাতে জমির ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে জল বাড়লে বিপদ হতেই পারে।