Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে তিস্তার পাড় থেকে ৩৫০ কেজি বর্জ্য সাফাই পরিবেশপ্রেমীদের
Bank of Teesta: নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ির সদস্যরা বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ওই এলাকা পরিষ্কার করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা দেন।
জলপাইগুড়ি: তিস্তার পাড় সাফাই এবং গাছের চারা বিতরণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করলেন পরিবেশ কর্মীরা। জন্মদিন হোক বা বিবাহবার্ষিকী বা বন্ধুদের পুনর্মিলন- সব সেলিব্রেশনেই তিস্তা নদীর পাড়কে বেছে নেন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দারা। সেই সব অনুষ্ঠানের বর্জ্য পড়ে থাকে নদীর পাড়েই। এর জেরে দূষিত হয় পরিবেশ। সেই এলাকা সাফাই করে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সচেতনতার বার্তা দিলেন পরিবেশপ্রেমীরা।
তিস্তা নদীর সংলগ্ন এলাকা কেবল অবসর সময়ে হাঁটাহাঁটি, আড্ডা এবং বিনোদনের জন্যই ব্যবহৃত হয় না, সকালের শরীরচর্চা, ছোটদের খেলার ক্ষেত্রেও জায়গাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকজন প্লাস্টিকের মোড়ক, প্লাস্টিকের বোতল, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এবং কাঁচের বোতলের ফেলে জায়গাটিকে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে। সেই জায়গাকে পরিষ্কারের কাজ করলেন জলপাইগুড়ির এক সংস্থা।
নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ির সদস্যরা বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ওই এলাকা পরিষ্কার করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা দেন। সব বয়সের লোকেরা সবাই মিলে বস্তা বোঝাই করে তিস্তার পাড় থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করেন। তিস্তার পাড়কে দূষণ মুক্ত রাখার বার্তা দিয়েছেন। তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫০ কিলো বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি নেচার এন্ড ট্রেকার্স ক্লাবের সদস্যরা।
জলপাইগুড়ি নেচার এন্ড ট্রেকার্স ক্লাবের হয়ে ভাস্কর দাস বলেছেন, “প্রতিদিন কারও পক্ষে এই জায়গা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। মানুষের পরিবেশ সচেতন আচরণই এই জায়গাকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে। তাই আমরা ক্লাবের সবাই মিলে তিস্তা নদীর পাড় সাফাই করলাম। এটিকে পরিষ্কার রাখার জন্য মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করলাম।“