Jalpaiguri: সরকারি পার্কে অনুষ্ঠান করতে চান? গাঁটের কড়ি ফেললেই হবে

Jalpaiguri: আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে নিদিষ্ট ফি এবং শর্তসাপেক্ষে পার্কগুলি ব্যবহার করা যাবে।

Jalpaiguri: সরকারি পার্কে অনুষ্ঠান করতে চান? গাঁটের কড়ি ফেললেই হবে
তিস্তা উদ্যান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2022 | 12:10 AM

জলপাইগুড়ি: প্রি ওয়েডিং শুট থেকে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান। জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে ওপেন এয়ার কনফারেন্স। নির্দিষ্ট ফি দিলে সবই পালন করা যাবে সরকারি পার্কে। রাজস্ব বাড়াতে উদ্যোগ নিল বন দফতর। উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন দফতরের অধীনে রয়েছে বহু পার্ক। এর মধ্যে বাছাই করা ৪টি পার্ককে এবার সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গেছে।

কোন কোন পার্কে করা যাবে অনুষ্ঠান?

বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরের তিস্তা উদ্যান, মাল মহকুমার মাল পার্ক, কোচবিহারের এনএম পার্ক এবং বালুরঘাটের বালুরঘাট পার্ক। এই চারটি পার্কে আপাতত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে নিদিষ্ট ফি এবং শর্তসাপেক্ষে পার্কগুলি ব্যবহার করা যাবে।

যে সব শর্তে পার্ক ব্যবহার করা যাবে-

১) প্রি ওয়েডিং শুট করার জন্য দিতে হবে ১১,০০০ টাকা

২) বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য লাগবে ৫০,০০০ টাকা

৩) জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য দিতে হবে ২৫,০০০ টাকা

৪) ওপেন এয়ার কনফারেন্সের জন্য লাগবে ১৫,০০০ টাকা

৫) অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য টাকা বন দফতরে জমা দিতে হবে। তবে পার্কগুলিতে কোনও প্রকার লেজার লাইট, ডিজে, প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। বিকেলে বাচ্চাদের খেলার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর পার্ক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।

উদ্যান ও কানন শাখার ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি কোভিড পরবর্তী সময়ে মানুষ অনুষ্ঠানের জন্য একটু খোলা জায়গা বেছে নিচ্ছেন। সেটা বিয়েবাড়ি হোক বা অন্যান্য অনুষ্ঠান। তাই এইসব দেখে নিয়েই একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বনমন্ত্রীর কাছে পার্কগুলিকে ওই সমস্ত অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতি দেওয়ার। সেই অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তাই আমরা উত্তরবঙ্গের ৪টি পার্ককে আপাতত বেছে নিয়েছি। এর মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট পার্ক, কোচবিহারের এনএম পার্ক, জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার পার্ক এবং তিস্তা উদ্যান, এই চারটি পার্ককে বিয়ে সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য নিদিষ্ট ফি এবং শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। এর ফলে সরকারের আয় বৃদ্ধি হবে।” তবে কিছু নিয়মাবলি বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এই নিয়ে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল বলেন, “বন দফতরের কাছ থেকে আমরা অত্যন্ত ভাল প্রস্তাব পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পৌরসভা এবং জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করব।”